বিশাল সৈকত ও নীল জলরাশির জন্য সারাবিশ্বের পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় নাম প্রশান্ত মহাসাগরের রাষ্ট্র ফিলিপাইনের দ্বীপ ‘বোরাকায়’। কিন্তু সেই সৈকত ও নীল জলরাশিকে দিনে দিনে ‘নর্দমার নরকে’ পরিণত করেছেন খামখেয়ালী পর্যটকরা। সৈকতটিকে এই অবস্থা থেকে ফের ‘নিসর্গ’ রূপে ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগী হয়েছে কর্তৃপক্ষ।
পর্যটকদের জন্য ‘বোরাকায়’র দরজা ছয় মাসের তরে বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। বুধবার (৪ এপ্রিল) ফিলিপাইন সরকারের মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের মুখপাত্র হ্যারি রক বলেন, ‘২৬ এপ্রিল থেকে পর্যটকদের জন্য দ্বীপটি পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।’ ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট দুতার্তে দ্বীপের অবস্থা সম্পর্কে নানা অভিযোগ তোলার কয়েক সপ্তাহ পর পর্যটকদের আকর্ষণকেন্দ্রটির ব্যাপারে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিলো।
৭ হাজারেরও বেশি দ্বীপপুঞ্জের দেশ ফিলিপাইনের ‘বোরাকায়’ জনপ্রিয়তা পেয়েছে সাদা-বালির সৈকতের জন্য। কিন্তু ১৯৮০’র দশক থেকে পর্যটকদের স্রোত বেড়ে যাওযায় দ্বীপটির স্বাভাবিক পরিবেশ বজায় রাখা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে।
পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা ‘বোরাকায়’র দীর্ঘ চলমান সমস্যাগুলোর মধ্যে অনিয়ন্ত্রিত অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আবর্জনা পাইপের মাধ্যমে সরাসরি সাগরে ছেড়ে দেওয়াকে দায়ী করছেন।
রাজধানী ম্যানিলার প্রায় ১৭০ মাইল দক্ষিণের ‘বোরাকায়’ দ্বীপে ১৭ হাজার মানুষের বসবাস। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই এ দ্বীপের পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তাই দ্বীপটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট তহবিলগুলো সক্রিয় করা হবে জানিয়েছেন সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ সচিব মেনার্ডো গুয়েভারা।