৬ মাস আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় আমেরিকার নারী ব্যাংকার শ্যারুন (৪০) এর সাথে ফরিদপুরের যুবক আশরাফউদ্দিন সিংকুর (২৭)। এ পরিচয়ের সূত্র ধরে দুইজনের মধ্যে গড়ে উঠে সম্পর্ক। পরে তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। সর্বশেষ বিয়ের মধ্যদিয়ে দুইজনের ভালোবাসার সম্পর্ক বন্ধনে মিলিত হয়। গত ১০ এপ্রিল সুদূর আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসে শ্যারুন বিয়ে করেন সিংকুকে।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের আশরাফউদ্দিন সিংকু পড়াশোনা করেন কবি নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের মাষ্টার্স শেষ বর্ষে। সিংকু জানান, বিগত ৬ মাস আগে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় আমেরিকার নিউইয়র্কে কর্মরত ব্যাংকার শ্যারুনের সাথে। এরই ধারাবাহিকতায় দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে শ্যারুন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে তাতে সায় দেয়। গত ১০ এপ্রিল শ্যারুন বাংলাদেশে এসে মুসলিম রীতি অনুযায়ী সিংকুর সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ধর্মগতভাবে দুই পরিবার একই ধর্মের হওয়ায় বিয়েতে কোন জটিলতা হয়নি। সিংকু জানান, আমার সাথে শ্যারুনের বয়সের ব্যবধান কিছুটা বেশী হলেও আমরা দুজন দুজনকে পেয়ে খুব খুশি। আমেরিকার নারী শ্যারুন জানান, বাংলাদেশে এসে তার খুব ভালো লাগছে। এদেশের মানুষ খুব ভালো।
আমেরিকান বৌ পেয়ে খুশি সিংকুর পরিবারের সদস্যরা। সিংকুর মা নার্গিস আক্তার জানান, শ্যারুন খুব ভালো মেয়ে। এমন বৌ পেয়ে আমরা সবাই খুশি। বাংলায় সে যখন ‘আম্মু’ বলে ডাক দেয় তখন নিজেকে গর্বিত মনে হয়। সিংকুর বাবা আলাউদ্দিন মাতুব্বর বলেন, ওরা দুজন দুজনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছে। আমরা ওদের জন্য দোয়া করি যাতে ওরা সুখে-শান্তিতে থাকতে পারে।
আমেরিকা থেকে শ্যারুন ঢাকায় আসে গত ৬ এপ্রিল। ঢাকায় শ্যারুন ও সিংকুর বিয়ে হয় ১০ এপ্রিল। ঢাকা থেকে দুজনই ফরিদপুরে আসে তিনদিন আগে। কয়েকদিন পর শ্যারুন ফিরে যাবে আমেরিকা। সেখানে কয়েকদিন থাকার পর ফের বাংলাদেশে আসবেন বলে জানা গেছে। সিংকু ও শ্যারুন বর্তমানে ফরিদপুরে রয়েছেন।
এদিকে সিংকু-শ্যারুনের বিয়ের খবরে বেশ উল্লাসিত সিংকুর গ্রামের মানুষ। প্রতিদিনই গ্রামের শত মানুষ শ্যারুনকে দেখতে ছুটে আসছে সিংকুদের বাড়িতে। শ্যারুন আগতদের ইংরেজী-বাংলা মিশেলে তাদের স্বাগত জানাচ্ছেন। সবার সাথে ছবিও তুলছেন।