গ্রুপ পর্বে একেকটি ম্যাচ পার করেছে আর প্রত্যাশাটাও যেনো একটু একটু করে কমেছে। তাই ফ্রান্সের বিপক্ষে ফেভারিটও ছিলো না আর্জেন্টিনা। তারপরেও আশা জাগিয়েছিলো কিছুক্ষণের জন্য। বিরতির পর এগিয়েও গিয়েছিলো গ্যাব্রিয়েল মার্কাডোর আচমকা গোলে এগিয়েও গিয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমবাপ্পের কাছে হার মেনেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে মেসিদের। আর কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে ফ্রান্স।
জিরুড, এমবাপ্পে, গ্রিজম্যান, পগবারা কোয়ার্টার ফাইনালের প্রতিপক্ষকে ঝড়ের পূর্বাভাসটাও যেনো দিয়ে রাখলো এদিন। মাঠে একেবারেই শান্ত ছিলো ফ্রান্স। পরিস্কার পরিকল্পনা নিয়েই শিষ্যদের মাঠে নামিয়েছিলেন দিদিয়ের দেশম। গ্রিজম্যানম্যানদের শারীরের ভাসায়ও যেনো সেটাই ফুটে উঠছিলো। তবে আক্রমণগুলো ছিলো একেবারেই আলাদা। এমবাপ্পে, পগবাদের একেকটি আক্রমণ মিসাইলের মতো আছড়ে পড়ছিলো আর্জেন্টাইন ডিফেন্সে।
অতিকায় এমবাপ্পে, পগপাদের কাছে অসহায়, নিরুপায়ই মনে হচ্ছিলো মাশচেরানো, মার্কাডোদের। পগবা, এমবাপ্পেদের গতি রুখতে একটাই অস্ত্র ছিলো আর্জেন্টাইন ডিফেন্সের আর তাহলো- ফাউল করা।
সেই ফাঁদে ফেলেই প্রথম পেনাল্টিটি আদায় করে নেন এমবাপ্পে। ১৩ মিনিটের সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন গ্রিজম্যান। তবে ৪১ মিনিটে অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার দারুণ গোলে সমতা নিয়েই বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা। বিরতি থেকে ফিরে ৪৮ মিনিটে মার্কাডোর গোলে লিড নিয়েও তা ধরে রাখতে পারেনি বেশিক্ষণ।
৫৭ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে পাভার্ডের দারুণ শটে সমতায় ফেরে ফ্রান্স।
এরপরই এমবাপ্পের ঝলক। ৬৪ মিনিটে গোল করে এগিয়ে দেয়ার দুই মিনিট পর আর্জেন্টিনাকে ফের হতাশায় ডোনা পুরো ম্যাচে আলো ছড়ানো এ তরুণ ফরোয়ার্ড। মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে ৪-২ এ পিছিয়ে পড়া আর্জেন্টিনা লড়েছে শেষ পর্যন্তই। শেষ দিকে সহজ মিস করেন মিস। বেশ কিছু দুরুণ সুযোগ এসেছিলো যেগুলো কাজে লাগাতে পারলে ফলাফল অন্যরকমও হতে পারতো। তা আর হয়নি। যোগ করা সময়ে আগুয়োর গোলটি তাই টিকে থাকর জন্য যথেষ্ট হয়নি