ব্রিস্টলে খেলা নিজেদের শেষ দুই ম্যাচে মঈন আলীকে ড্রপ করেছিলো ইংল্যান্ড। কারন ব্রিস্টলের স্ট্রেইট বাউন্ডারি অনেক ছোট, লং অন মিড উইকেট অঞ্চলের মাঝের অংশ বেশ ছোট, মঈন আলীকে ব্যাটসম্যানরা সোজা ব্যাটে খেলে ছোট বাউন্ডারি দিয়ে সহজেই চার, ছয় মারতে পারবে।
তো বোলার মঈন আলীর জন্য এটা নাহয় সমস্যা কিন্তু মঈনের আরো একটি পরিচয় আছে, তিনি ব্যাটসম্যানও বটে। যতই কম্বিনেশনের মারপ্যাচে সাত বা আটে নামুক মঈন মূলত টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান। ইংল্যান্ডের হয়ে ওপেন করেছে একসময়! ওস্টারশায়ারে এখনো করেন।
যাইহোক আজ ইংল্যান্ড ঝুঁকি নিয়ে মঈন আলীকে খেলিয়েছিলো, আর সেই ছোট বাউন্ডারির সর্বোচ্চ সুবিধা নিয়ে মঈন ইংল্যান্ডের হয়ে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরী করেছেন। ৫৭ বলে করেছেন ১০২ রান।
মঈন যখন উইকেটে আসেন তখন ইংল্যান্ড বেশ চাপে, ৩৩ তম ওভারে ২১০/৫, মুহুর্তেই সেটা ৩৫ তম ওভারে ২১৭/৬! সেখান থেকে ক্রিস ওয়োকসের সাথে ৭৬ বলে ১১৭ রানের জুটি গড়েন। যাতে মঈনের অবদান ৮২ রান ৪২ বলে।
৫৩ বলে সেঞ্চুরী ছোঁয়া মঈন ৩০ থেকে ১০২ রান করতে নিয়েছেন মাত্র ২৪ বল। ৬০ থেকে ১০২ রান করতে নিয়েছেন মাত্র ১০ বল।
প্রথম ফিফটির পরই বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন মঈন, দ্বিতীয় ফিফটি করেন মাত্র ১২ বলে। আউট হবার আগে শেষ ১৪ বলে করেন ৬১ রান, আটটি ছয় এবং দুটি চার!
তবে মঈনের ফ্রি লাইসেন্স নিয়ে ব্যাট করার পেছনে ইংল্যান্ডের লম্বা ব্যাটিং লাইন আপের ভূমিকা অনেকখানি, ইংল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান পর্যন্ত ব্যাট চালাতে পারে বলে উইকেট ধরে রাখার বদলে ব্যাট চালাতে পেরেছেন মঈন আলী। মঈনকে সবচেয়ে বেশি সাপোর্ট দেন ৮ম ব্যাটসম্যান ক্রিস ওয়োকস, ৩৪ বলে ৩৪ রান করেন তিনি।
৫০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩৬৯/৯। শেষ ৬ ওভারে এসেছে ৯৩ রান!