কোটা সংস্কার ইস্যুতে ছাত্র আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ধাক্কা লাগে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর। এ তালিকা থেকে বাদ পড়েননি মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও।
সরকার পতনের পর সাকিবের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলায় অভিযোগ আনা হয়। এরপর থেকেই তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এবং জাতীয় দলের বাইরেও রয়েছেন। ক্রিকেটে তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় দলের সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এক জাতীয় দৈনিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন,
“এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। বোর্ডও কিছু করতে পারবে বলে মনে হয় না। এটা সরকারি নীতির ওপর নির্ভর করে। যখন সরকার মনে করবে, তখনই সে আসতে পারবে।”
সাকিবের দীর্ঘদিনের কোচ হিসেবে পরিচিত সালাউদ্দিন আরও বলেন,
“সাকিবকে জাতীয় দলে ফেরানো নিয়ে আমাদের খুব বেশি চিন্তা করার কিছু নেই। হয়তো সেভাবেই মেনে নেবে। আর যদি ফিরে আসতে পারে, সবাই চাইবে সে দলে আসুক। তবে এ বিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।”
এর আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেছিলেন,
“সাকিবের ফেরার বিষয়ে বোর্ডে এখনো কোনো আলোচনা হয়নি। ক্রিকেটের বাইরের আলোচনা আমরা এত বেশি করছি না।”
বিসিবির পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠুও সাকিবকে নিয়ে বলেন,
“বাংলাদেশের ইতিহাসে গ্রেটেস্ট ক্রিকেটার হচ্ছেন সাকিব আল হাসান। এখানে কোনো সেকেন্ড চয়েস নেই। তার জন্য দরজা সবসময় খোলা। এটা নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্টের ওপর নির্ভর করছে।