বাংলাদেশের পেসার তাসকিন আহমেদ সাম্প্রতিক সময়ের ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের কিপটেমি দিয়ে নজর কেড়েছেন। কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তাসকিন, যা এই যুগের মারকাটারি ব্যাটিংয়ের প্রেক্ষাপটে বেশ ভালো বোলিং হিসেবেই ধরা যায়।
দুই বছরের পরিসংখ্যানে সেরা ইকোনমি রেট
২০২৩ সালের ৮ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৮ জুলাই পর্যন্ত সময়কালে, যারা অন্তত ১৫০ ওভার বল করেছেন এমন পেসারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদই সবচেয়ে কম ইকোনমি রেটের অধিকারী:
তাসকিন আহমেদ:
ম্যাচ: ২৩
ওভার: ১৯৫.৫
উইকেট: ৩৮
ইকোনমি রেট: ৫.০৯
তাঁর পরে আছেন কিছু সহযোগী সদস্য দেশের বোলার:
ডিলন হেইলিগার (কানাডা): ৫.২২
পল ফন মিকেরেন (নেদারল্যান্ডস): ৫.২৮
ম্যাট হেনরি (নিউজিল্যান্ড): ৫.৩৫
জশ হ্যাজলউড (অস্ট্রেলিয়া): ৫.৩৮
স্পিনারদের সঙ্গে তুলনায় অবস্থান নিচে
তবে স্পিনারদের অন্তর্ভুক্ত করলে এই তালিকায় তাসকিন কিছুটা পিছিয়ে পড়েন। তখন তিনি নামেন ১৭ নম্বরে। এই তালিকায় সবার ওপরে আছেন:
বার্নার্ড শোলৎজ (নামিবিয়া): ৩.২৫
মোহাম্মদ নবী (আফগানিস্তান): ৪.২৯
কমপক্ষে ১০০ ওভার বোলিং করলে অবস্থান সপ্তম
ওভারসংখ্যা ১০০-তে নামিয়ে আনলে তাসকিনের অবস্থান পেসারদের মধ্যে সপ্তম। সেরা তিন:
কলিম সানা (কানাডা): ৪.২০
সৌরভ নেত্রবালকার (যুক্তরাষ্ট্র): ৪.৩৩
যশপ্রীত বুমরা (ভারত): ৪.৪০
সংক্ষেপে
টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে সর্বশেষ দুই বছরে সবচেয়ে কিপটে পেসার তাসকিন আহমেদই (কমপক্ষে ১৫০ ওভার বোলিং বিবেচনায়)।
সব ধরনের বোলার বিবেচনায় তাসকিনের কিপটেমি এখনো উঁচু মানের হলেও শীর্ষে নন।
এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে, ওয়ানডে ক্রিকেটে তাসকিন এখনো বাংলাদেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য অস্ত্র, বিশেষ করে রান আটকে রাখার ক্ষেত্রে।
তথ্যগতভাবে বলা যায়, সর্বশেষ দুই বছরে তাসকিন আহমেদই পেসারদের মধ্যে ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে কম রান খরচ করা বোলার — যদি অন্তত ১৫০ ওভার বোলিং করা হয় এমন বোলারদের মধ্যে তুলনা করা হয়।