৩৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন, খেলার কেবল দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশন শেষ হয়েছে। এমন সময়ে ব্রায়ান লারার ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙার চেষ্টা না করে উইয়ান মুল্ডারের ইনিংস ঘোষণায় বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে এই সিদ্ধান্তের কারণ জানিয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক।
প্রশ্নটা আমাকে করতেই হবে…’ দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর শন পোলকের কণ্ঠে অবধারিত সেই জিজ্ঞাসা—আপনার সামনে ব্রায়ান লারার চার শ রান ছাড়িয়ে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ ইনিংসের মালিক হওয়ার সুযোগ ছিল, তবুও মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ৩৬৭ রানে অপরাজিত থাকার সময় কেন ইনিংস ঘোষণা করে দিলেন?
উইয়ান মুল্ডার এরপর দিলেন সেই উত্তর, যার জন্য অপেক্ষা ক্রিকেট দুনিয়ার সবার, ‘প্রথম কথাটা শুরুতে বলি—আমার মনে হয়েছে নতুন বল নেওয়ার জন্য যথেষ্ট রান আছে।’ প্রথম কথা মানে অবশ্যই দ্বিতীয় কোনো কারণও আছে। এক ইনিংসে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙার সুযোগ তো আর বারবার আসে না। তা জানেন মুল্ডারও। তিনিই ছিলেন অধিনায়ক, তাই রেকর্ড গড়ার সব সুযোগই ছিল।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার এই ক্রিকেটার জানিয়েছেন, যদি আবার এমন সুযোগ আসে তাহলেও নাকি একই কাজ করবেন—আর তা লারার প্রতি সম্মান জানিয়ে, ‘বাস্তবতা হচ্ছে ব্রায়ান লারা কিংবদন্তি। তাঁর ৪০০ রান ছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তাঁর মতো কারও এই রেকর্ড থাকাটা বিশেষ কিছু। আমার মনে হয় যদি আবার সুযোগ পাই, সম্ভবত একই কাজ করব।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ে টেস্টের কেবল দ্বিতীয় দিন চলছিল। সামনে সময়ও ছিল অনেক। ৫ উইকেটে ৬২৬ রান তোলার পর ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ব্যাটিংয়ে নামা জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ১৭০ রানে অলআউট করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফলো অন করতে নামা জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান করেছে, পিছিয়ে আছে ৪০৫ রানে।
এত সময় পেয়েও যে রেকর্ডের পথে ছোটেননি, তা নিয়ে মুল্ডার আলোচনা করেছেন দলের প্রধান কোচ শুকরি কনরাডের সঙ্গেও, ‘আমি শুকসের (শুকরি) সঙ্গেও কথা বলেছি, তিনিও বলেছেন, ‘‘কিংবদন্তিকে এই রেকর্ডটা ধরে রাখতে দাও। ব্রায়ান লারার কাছেই রেকর্ডটা থাকা উচিত।’
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সব মিলিয়ে ২১টি টেস্ট খেলেছেন মুল্ডার। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে সাত-আটে ব্যাট করেছেন। তিন নম্বরে তিনি এখন পর্যন্ত ব্যাট করেছেন কেবল ৭ ইনিংস। এর মধ্যেই ৩৬৭ রানের ইনিংসটি খেললেন, টেস্টে দেশের বাইরে এটিই ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস।
নিজের উন্নতি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন জাতীয় দলে খেলা শুরু করি, তখন যথেষ্ট ভালোর কাছাকাছিও ছিলাম না। বোর্ড আমাকে শেখার জন্য অনেক সুযোগ দিয়েছে, আরও উন্নতি করারও। ইংল্যান্ডে খেলাটা আমার টেকনিক্যাল উন্নতি বাড়িয়েছে, আমি কেমন ক্রিকেটার হতে চাই তা বুঝতেও।