সাবিত রেজা
মুশফিকুর রহিম। নামটা শুনে বুঝা যাই একজন সাহসী বীরের নাম। তিনি বগুড়া জেলায় ১৯৮৮ সালের ৯ই মে তে দুনিয়া তে আসেন। এই ছোট বাঘের বাচ্চা বাংলাদেশ এ অনেক বড় অবদান রাখে। তার একটি মজাদার ব্যাপার হলো লর্ডস এ সবচেয়ে কমবয়সী প্লেয়ার হলেন তিনি। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ড আর বিপক্ষে। ২০০৭ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ এ তিনি কিপার এর দায়িত্ব নেন।টেস্টে তার সাথে পরিচিত হতে থাকে ২০০৭ সালে তার ক্যারিয়ার এ ৩য় টেস্ট এ শ্রীলংকার বিপক্ষে ৮০ করার মাধ্যমে। টেস্ট এ মাঝখানে তার পারফরমেন্স এতোটা ভালো যাইনি।
অবশেষে ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে আবার কামব্যাক করে। ২০১০ সালে ভারতের বিপক্ষে ১ম বাংলাদেশি হিসাবে দ্রুততম শতক করেন।সকলে তখন তার দিকে দৃষ্টি দেই। ২০১১ তে তার অবদান এতোটা ছিল না। ২০১২ সালের বিপিএল আসরে দুরুন্ত রাজশাহী এর আইকন প্লেয়ার হিসেবে নিযুক্ত হন। তার অধিনায়কত্বে খারাপভাবে শুরু হলেও অবশেষে সেই আসরে রাজশাহী সেমি ফাইনাল পা রাখেন। চলতি আসরে মুশফিক ১১ ম্যাচ এ ২৩৪ রান করে সকলের নজর আরো কেড়ে নেন। সাকিব এর জায়গায় বিসিবি তাকে অধিনায়ক নিযুক্ত করে এবং তার অধিনায়কত্বে ২০১২ সালে ১ম বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে পা রাখেন।টূর্নামেন্টে ৩ ম্যাচ এর মধ্যে ২টি ম্যাচ জয় লাভ করে।তারপর ২০১৩ সালের শ্রীলংকার বিপক্ষে গল টেস্টে ১ম বাংলাদেশি হয়ে বিদেশের মাটিতে ডাবল সেঞ্চুরি করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে ১ম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান। ২০১৩ এর অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে নিউজিল্যান্ডকে তার অধীনে ৩-০ হোয়াটওয়াস করে। ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে তিনি ওয়ানডেতে ভারত এর বিপক্ষে ২য় শতক করেন। পরের ম্যাচ এ আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩২ রানে হারে,যা তাকে এবং বাংলাদেশ টিমকে হতাশ করে। আবার ২০১৪ সালের টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ এ গ্রুপ পর্বে একটি ম্যাচ ও জিতেনি বাংলাদেশ। তার ক্যাপ্টেনসি তে দুর্দশা নেমে আসে।চলতি বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশ উন্ডিজ সফরে যাই। ক্যারাবীয়ানরা টেস্ট ওয়ানডে তে হোয়াটওয়াস করে। তারপর ২০১৫ তে জিম্বাবুয়ে সফরে তার পরির্বতে ম্যাশকে অধিনায়ক করা হই।
২০১৫ সালের ওয়ার্ল্ড কাপ এ ৬ ম্যাচ এ করেন ২৯৮ রান।ইংল্যান্ড এর বিপক্ষে মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকের ১৪১রানেন জুটিতে বাংলাদেশ ১ম বারের মতো আইসিসি ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়াটার ফাইনাল খেলে। তারপর পাকিস্তান সিরিজে ৩ ম্যাচ এ করেন ২২০ রান। ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভাল রান করেন তিনি। ২০১৬ সালের টি-২০ ওয়ার্ল্ড কাপ ভারতের বিপক্ষে তিনি শেষ ওভারে ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি মেরেও জয় হাকিয়ে আনতে পারলেন না। তখন প্রয়োজন ছিল ৬ বলে ১১ রান। তার টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি অনেক সাফল্য আনে বাংলাদেশ টেস্ট ক্যারিয়ারে। তার অধীনে ইংল্যান্ড এর সাথে ১ম টেস্ট জয়ের সাদ গ্রহন করে। তার অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ কিছুদিন আগে শ্রীলংকার সাথে টেস্ট এ একটি টেস্ট জয় লাভ করে ১-১ ড্র করে। আগামী ২৭ তারিখ অজিদের সাথে দেশের মাতিতে টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ২০০৫ এর পর আবার টেস্ট খেলতে নাম্বে এই দুই দল।
টেস্ট ক্রিকেট এ মুশফিক এর অবদান অনেক। তিনি ৫৪ টেস্টে ১০০ ইনিংস খেলে ৮ বার নট আউট থাকেন,রান করেন ৩২৬৫।তার আভারেজ হল ৩৫.৪৮ এবং স্ট্রাইক রেট ৪৬.৯৯। সর্বোচ্চ রান হল ২০০(vs শ্রীলংকা)। ১৭টি ফিফটি এবং ৫টি শতক ও ১টি ডাবল সেঞ্চুরি রয়েছে। টেস্ট চার মেরেছেন ৪০৪টি এবং ২৭টি ছয় আছে।ক্যাচ ধরেছেন ৮৯* এবং স্টাম্প করেছেন ১২*টি। এই এক বছরে তিনি ১২ ইনিংস খেলে ৬৬১ রান করে আভারেজ ৬১.৫০। এ বছর দুটি শতক(১৫৯ও১২৭) পান নিউজিল্যান্ড ভারতের বিপক্ষে। তাই এই সিরিজ এ তিনি একজন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার। আর বাংলা আজি সিরিজ এ ভালো ফলাফল আসা করছি।