আরো একটি বল বাকি থাকতেই লঙ্কান পেসার ইসুরু উদানার বলকে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে উড়িয়ে সীমানা পার করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তখন কমেন্ট্রি বক্সে বসে থাকা ব্রেট লি যেন মুখ বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিলেন। চাপকে জয় করে সীমানার বাইরে বল পাঠিয়ে যেভাবে রিয়াদ কলম্বো শহরকে স্তব্ধ করে দিয়েছেন, সেটি মুহূর্তের জন্যে কল্পনার মতো মনে হচ্ছিল! তবে আসেল সেটি ঘটিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
বল সীমানা পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেট লি বলছিলেন, অতুলনীয় শট। রিয়াদ দলকে জয় এনে দিয়েছেন। অথচ সাকিব যে খেলা থেকে উঠে আসার কথা বলছিলেন!
২০তম ওভারের প্রথম দু’টি বলই বাউন্স দেওয়া হয়। অথচ প্রথম বলের পর বোলারকে একটি বাউন্সের কথা স্মরণ করিয়েতো দিলেনই না বরং উদানার দ্বিতীয় বলটির উচ্চতা ছিলো আরো বেশি। লেগে দাঁড়িয়ে থাকা আম্পায়ারের কথায় কর্ণপাত না করে স্ট্যাম্পে থাকা আম্বায়ার ‘নো’ বল দিলেন না। আবার এ বলেই রান আউট হয়ে ফিরেছেন মুস্তাফিজ।
টাইগারদের দরকার ৫ বলে ১২ রান। ঠিক তখনই একটা নো বল মানে একটা রান আর আরো একটি ফ্রি হিটের সুযোগ।এমন একটি বল আর রানের গুরুত্ব কাউকে বোঝাতে হয় না।
এমন সময় ঘটে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান মাঠের বাইরে থেকে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি রিয়াদ এবং রুবেলকে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতে বলেন। তিনি বারবার জানতে চাইছিলেন, ‘নো’ বল কেন দেওয়া হলো না!’
তবে মাঠ ছেড়ে এলে এ টুর্নামেন্ট থেকে যেমন ছিটকে যেতো বাংলাদেশ, তেমনি সমালোচনা আর শাস্তির মুখেও পড়ার সম্ভাবনা থাকতো। অথচ খেলা চলাকালে আপিল ছাড়া আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কথা বলা আইসিসি’র কোড অব কন্ডাক্ট বিরোধী। লেভের এক বা দুইয়ের অধীনে ম্যাচ ফি কর্তন ছাড়াও পরবর্তী ম্যাচ না খেলতে দেওয়ার শাস্তি রয়েছে এ অপরাধের কারণে।
এতো বড় অন্যায় মেনে নিতে পারছিলেন না সাকিব। ফিরে যান ড্রেসিংরুমে। পরের চারটি বল খেলার জন্যে রিয়াদ আর রুবেলকে আবারও ক্রিজে ফিরে যেতে বলেন দলের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন।নো বল না দেওয়ার অভিযোগটি