ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট মাঠে গড়াতে যাচ্ছে এজবাস্টনে। তবে ম্যাচ শুরুর ঠিক একদিন আগেও একটাই প্রশ্ন ঘুরছে—ভারতের বোলিংয়ের প্রধান অস্ত্র জাসপ্রীত বুমরাহ খেলবেন তো?
হেড কোচ গৌতম গম্ভীর আগেই বলেছেন, বুমরাহর ওয়ার্কলোড ব্যবস্থাপনায় নজর থাকবে। তবে লিডস টেস্টে ৫ উইকেট নেওয়া পেসারকে নিয়েই এখন যেন সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তা। কারণ, এই টেস্টে তাকে খেলালে পরের ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। আর পরের ম্যাচটি যে লর্ডসে, এমন একটি ঐতিহাসিক মাঠে খেলতে কে না চায়?
২০২৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত টেস্টে সবচেয়ে বেশি ওভার করেছেন বুমরাহ (৪১০.৪ ওভার)। অস্ট্রেলিয়ার স্টার্ক, কামিন্স কিংবা ভারতের সিরাজ—কারও কাছেই নেই এই সংখ্যার ধারে-কাছে। অথচ এই বোলারকেই আবার চোটের শঙ্কা নিয়েই ভাবতে হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্টে খেলানো যাবে কিনা।
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি এক পডকাস্টে বলেন,
ওকে আবার ভাঙলে (ইনজুরিতে পড়লে) আপনি বুমরাহকে চিরতরে হারাবেন। মানুষ হিসেবে ভাবুন, ওর একটা পরিবার আছে। এমনিতেই একবার সার্জারি করানো হয়েছে, যদি আবার ব্যাক ইনজুরি ফিরে আসে, তাহলে আর ফেরানো কঠিন হয়ে যাবে।
ভারত প্রথম টেস্ট হেরেছে, দ্বিতীয়টিতে হার মানে সিরিজ প্রায় শেষ। তাই টিম ম্যানেজমেন্টের মাথায় হিসাব—এখন না খেলিয়ে কি আর সময় আছে? কিন্তু হিলির মতো অনেকে বলছেন, ‘জেতার চেয়ে একজনকে সঠিকভাবে ব্যবহার করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাকে ঘিরে বোলিং আক্রমণ সাজানো হোক, কিন্তু সব দায়িত্ব তার কাঁধে তুলে দেওয়া বিপদ ডেকে আনবে।’
বুমরাহর ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার, ভারতের পরবর্তী টেস্ট সিরিজ, ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ—সব কিছুই এই সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। ভারতের এখন ভাবার সময়—একটি টেস্ট জিততে গিয়ে তারা কী একজন মহামূল্যবান বোলারকে চিরতরে হারিয়ে ফেলবে না তো?