মোঃ জুলকার নাইন মাহফুজ
বারুদে ঠাসা রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ হাসি হাসল ফ্রান্স । ম্যাচের স্কোরলাইন দেখে যে কেউ বলবে এটি একপেশে একটি ম্যাচ ছিল । কিন্তু যারা স্বচক্ষে ম্যাচ দেখেছেন তারা জানেন এ ম্যাচের পরতে পরতে লুকিয়ে ছিল রোমাঞ্চ, নাটকীয়তা, উত্তেজনা ।
ম্যাচের শুরু থেকেই জমপেশ এক লড়াইয়ের আভাস দিয়ে রেখেছিল দু’দল । আক্রমণ প্রতি আক্রমণে বারবার উত্তেজনার পারদ উঁচুতে উঠছিল । তবে অঘটনের সূচনা ঘটে মারিও মানিজুকিচের আত্মঘাতী গোলের দ্বারা । ম্যাচের মাত্র ১৮ মিনিটে আচমকা এক হেডে নিজের জালে বল পাঠিয়ে দেন । ইতিহাসের প্রথম খেলোয়ার হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে আত্মঘাতী গোল দেয়ার রেকর্ড করেন তিনি । এর ঠিক দশ মিনিট পরেই পেরিচিচ এর গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া । তবে এ সমতার স্থায়ীত্ব দশ মিনিটের বেশি হতে দেয়নি গ্রিজম্যান । ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল দিয়ে ২-১ গোলে এগিয়ে নেন ফ্রান্সকে । বিরতি থেকে এসে ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণের মাঝে সুযোগ বুঝে ব্যবধান বাড়িয়ে তুলেন পল পগবা । এরপরই ইতিহাসের দ্বিতীয় খেলোয়ার হিসেবে মাত্র ১৯ বছর বয়সে ফাইনালে গোল করেন কিলিয়ান এম্বাপ্পে। ৬৯ মিনিটে হাস্যকর এক ভুলের মাশুল দিতে হয় ফ্রান্সকে । গোলরক্ষক লরিসের ভুলে বল জালে জড়িয়ে দেন মানজুকিচ ।
বাকি সময়টুকু ক্রোয়েশিয়ার আক্রমণের শুধু প্রতিরোধ করে গিয়েছে ফ্রান্স । রেফারির শেষ বাঁশি বাজার মধ্য দিয়েই নিজেদের ঘরে দ্বিতীয় শিরোপা তুলে নেয় ফ্রান্স ।