শ্রীলঙ্কার ৭০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত। ফাইনালে ভারত টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছে। বাংলাদেশ অপরিবর্তিত দল নিয়ে মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে ভারত এক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে। উদানাকাতের পরিবর্তে দলে ফিরেছেন অফস্পিনার সিরাজ।
এর আগে বাংলাদেশ টি-টিয়েন্টি ও ওয়ানডেসহ পাঁচটি ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু কখনো টাইগার সেনারা শিরোপা উঁচু করে দেখাতে পারেন নি বাংলাদেশে কোটি ক্রিকেট প্রেমীদের।
২০০৯ সালে ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে আয়োজিত ত্রিদেশীয় সিরিজে দাপুটে ক্রিকেট খেলেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনাল হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় টাইগারদের। ২০১২ সালের এই মার্চ মাসে এশিয়া কাপে ফাইনাল হেরে সাকিব-মুশফিক যেমন কাঁদেন, তেমনি কাঁদেন সারা দেশের কোটি ক্রিকেট বক্তরা।
এরপর ২০১৬ সালের মার্চে মিরপুরে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হওয়া এশিয়া কাপের ফাইনালেও পাকিস্তানের কাছে হারে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালের মে থেকে ২০১৮ পর্যন্ত আরও তিনটি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে নিউজিল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। সেবারও গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে যায় বাংলাদেশ। কিন্তু ফাইনালে গিয়ে ওই নিউজিল্যান্ডের কাছেই হেরে যায় মুশফিক-মাহমুদউল্লাহরা।
আর সবশেষ দেশের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের স্মৃতি তো এখনও দগদগে। ‘ফেরাবিট’ হিসেবে শুরু করলেও শেষ পর্যন্ত ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হেরে স্বপ্ন ভঙ্গ হয় বাংলাদেশের।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ হেরেছে পাঁচ-পাঁচটি ফাইনাল। জয়ের কাছে গিয়েও উঁচিয়ে ধরা হয়নি শিরোপা। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে ভারতের বিপক্ষের ম্যাচ তাই শুধু ফাইনাল না! আগের পাঁচটি ফাইনালের হিসাব মেলানোর সুযোগও বলা চলে।
বাংলাদেশ একাদশ:
তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান, নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন এবং মোস্তাফিজুর রহমান