তায়কোয়ান্দো মূলত একটি কোরিয়ান শব্দ। এটি মূলত কোরিয়ান মর্ডাণ মার্শাল আর্ট এর একটি শ্রেণিবিশেষ। এটি কোরিয়ান ভাষায় লেখা হয় এভাবে EHZIZ. তায়কোয়ান্দো এমন এক ধরনের রণকৌশল যাতে রক্তপাতের বালাই নেই। এখানে দুই হাত ও দুই পা অস্ত্র হিসেবে কাজ করে। আর মস্তিষ্ক কাজ করে ‘কমান্ড’ হিসেবে। এটি সর্বপ্রথম প্রচলিত হয় ১৮ শতকের দিকে এবং ১৯৪০ এর দিকে প্রথম কোরিয়াতে বড় আসরে খেলা হয়। মূলত কারাতে ও চাইনিজ মার্শাল আর্ট এর একটি মিলিত রূপ তায়কোয়ান্দো। যদিও এটি কারাতে ও চাইনিজ মার্শাল আর্টের মিলিত রূপ তবুও এদের মধ্যে যথেস্ট পার্থক্য বিদ্যমান, কারণটা তায়কোয়ান্দোতে তাক্কিওয়ান, সুবাক ও গোনবিয়োপ এর কিছু ছোঁয়া থাকার সুবাদে।
এই খেলাটি বর্তমানে দেশে-বিদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই এই নতুন খেলার প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এ খেলা একই সাথে যেমন আত্মরক্ষা ও আত্মবিশ্বাসে সহয়াতা করেছে, তেমনিভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরাই এই খেলার প্রতি বেশী ঝুঁকছে। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে তায়কোয়ান্দোর পরিসর বেশ বড়ো। এটি অলিম্পিক এর একটি ইভেন্ট হিসেবে স্থান পায় সন ২০০০ এ। বাংলাদেশেও এর জনপ্রিয়তা কম নয়, বর্তমানে জনপ্রিয়তার সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে এই খেলার সুযোগ সুবিধাও।
তায়াকোয়ান্দো রয়েছে তিনটি ইভেন্ট:
১/পুমসে
২/গিওরোগি বা স্পেয়ারিং
৩/ডেমোন্সট্রেশন।
ডেমোন্সট্রেশন এ মূলত রয়েছে ব্রেকিং, অ্যাকরোবেটিকস,অল্প কিছু পুমসে ও গিওরোগীর অংশ।খেলাটির হেড কোয়ার্টার , ওয়ার্ল্ডা তায়কোয়ান্দো ফেডারেশন(WT) দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত।
ফারজানা শেহরীন (রূপন্তী)
ছবি: .wikipedia