আগামী মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) আয়োজিত সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেট আসর—এশিয়া কাপ। এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাদের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানকে পুনরায় দলে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তা-ভাবনা করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্সে ব্যাপক হতাশা দেখা দিয়েছে সাবেক ক্রিকেটার, বিশ্লেষক এবং বোর্ড কর্মকর্তাদের মধ্যে। এ পরিস্থিতিতে দলকে আবার শক্তিশালী করতে পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি বাবর ও রিজওয়ানের মতো অভিজ্ঞ তারকাদের দলে ফেরানোর পরিকল্পনা করছেন।
সম্প্রতি পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির সঙ্গে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের একটি সাক্ষাতের ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যা ঘিরে শুরু হয় তাদের দলে ফেরা নিয়ে জোর গুঞ্জন। এই গুঞ্জনের পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ ফখর জামানের ইনজুরি। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকে ছিটকে গেছেন পাকিস্তানের নিয়মিত ওপেনার ফখর জামান। পিসিবি ইতোমধ্যেই তাকে লাহোরের ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে রিপোর্ট করতে বলেছে, যেখানে তার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ফলে এশিয়া কাপে তার খেলা অনিশ্চিত বলেই ধরা হচ্ছে।
ফখরের এই শূন্যস্থান পূরণের ক্ষেত্রে বাবর আজমকে সবচেয়ে সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে দলের চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা পেতে বাবরকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে ভালো পারফর্ম করতে হবে, যা নির্বাচকদের আস্থা অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। টি-টোয়েন্টি দল থেকেও সাময়িক বাদ পড়া বাবরের জন্য এটি দলে ফেরার বড় সুযোগ।
এদিকে, বাবর আজম ছাড়াও মোহাম্মদ রিজওয়ান ও পেসার নাসিম শাহ পিসিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, যা আসন্ন স্কোয়াডে তাদের সম্ভাব্য অন্তর্ভুক্তির ইঙ্গিত দেয়।
পিসিবি চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে এশিয়া কাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে। ক্রিকেট বিশ্লেষকদের ধারণা, সেই দলে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের মতো অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটারদের দেখা যেতে পারে।
প্রসঙ্গত, ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে অংশ নেবে মোট আটটি দল, যা দুই গ্রুপে বিভক্ত। গ্রুপ-এতে রয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান ও ভারত, তাদের সঙ্গে রয়েছে ওমান এবং স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাত। গ্রুপ-বি’র দলগুলো হলো বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও হংকং। টুর্নামেন্টজুড়ে উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচের পাশাপাশি খেলোয়াড় নির্বাচনের বিষয়টিও থাকবে সবার নজরে।