আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শুরু হবে ত্রিজাতির নিদাহাস টি-টোয়েন্টি সিরিজের ফাইনাল। শিরোপা জেতার এ লড়াইয়ে স্বাগতিকদের ‘দর্শক’ বানিয়ে লড়বে বাংলাদেশ ও ভারত। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে তুমুল উত্তেজনার খেলায় শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা লাল-সবুজের পতাকাধারীরা দারুণ উজ্জীবিত। সমর্থকরাও আশা করছেন, বিদেশের মাটি থেকে প্রথম কোনো শিরোপা জিতে আনার স্বপ্নপূরণের। শ্রীলঙ্কার রাজধানীর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে রোববার (১৮ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে মহারণ।
পেছন ফিরলে যদিও কেবল হতাশার অধ্যায়; দেশের মাটিতে ২০০৯ সালে ত্রিজাতি সিরিজের ফাইনাল, বছর তিনেক পর ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনাল এবং সবশেষ গত জানুয়ারিতে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পরাজয়। তবু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগের খেলায় ভারতের বিপক্ষে দারুণ লড়াই এবং গত শুক্রবারের (১৬ মার্চ) ‘সেমিফাইনালে’ একেবারে পথ হারিয়েও শেষ পর্যন্ত জয় দারুণ আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। অপরদিকে ভীতি যোগাচ্ছে প্রতিপক্ষ শিবিরে।
মহারণের আগের দিন শনিবার (১৭ মার্চ) দারুণ প্রত্যয় শোনা গেল টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে। শুক্রবারের ম্যাচের উত্তেজনা-বিতর্ক ভুলে যাওয়া সাকিবের ভাবনায় এখন কেবলই ‘ভারত’।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলছিলেন, ‘আমরা যতটা নির্ভার থাকা যায় সে চেষ্টা করছি। টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার জন্য খালো মনে থাকা খুব জরুরি। চাপ নিলেই চাপ, আর চিন্তা না করলে চাপ নয়। আমি নিশ্চিত সবাই অনেক নির্ভার আছে।’
হতাশাকে পেছনে ফেলে সাকিবের ভাবনা সামনের দিকে, ‘কয়েকটা ফাইনাল খেলেছি…। ভারত যদিও খুব ভালো দল। আমাদের লক্ষ্য থাকবে ভালো ক্রিকেট খেলার, সবাই মুখিয়ে আছে ভালো করতে।’
শুক্রবারের ম্যাচের পর সাকিবরা যেমন মুখিয়ে আছেন শিরোপা জয়ের উজ্জীবনী শক্তিতে, তেমনি আশার প্রদীপ জ্বলছে টাইগারদের সমর্থক শিবিরেও। আর অন্তত ফাইনালে হার নয়। এই ‘নয়’ কি ‘জয়’ হবে না?