শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে হারের কারণ হিসেবে জুটি গড়তে না পারার বিষয়টি তুলে ধরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। সেই সঙ্গে নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর আউটেই চাপ বেড়ে যায় দলের ওপর।
ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, ‘আমি আউট হওয়ার ফলে দল চাপে পড়ে। আমি রান রেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলার চেষ্টা করছিলাম। প্রতি ওভারে অন্তত একটি বাউন্ডারি নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, যেন হৃদয়ের ওপর চাপ না পড়ে। কিন্তু শটটা ঠিকভাবে খেলতে পারিনি। ঠিকভাবে খেললে ছক্কা হতো।’
তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েছিলেন মিরাজ। তবে ২১তম ওভারের শেষ বলে মাত্র ২৫ বলে ২৮ রান করে আউট হলে ভেঙে পড়ে সেই আশার প্রতিচ্ছবি। এরপর আর বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ।
মিরাজ বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা তিন উইকেট হারানোর পরও বড় জুটি গড়েছে। কুশল মেন্ডিস ও আসালাঙ্কা মিলে ১২৪ রানের জুটি করেছিল। আর আমরা শুধু ৪০ রানের কিছু জুটি পেয়েছি। ওসব দিয়ে ম্যাচ জেতা যায় না।’
এদিন বাংলাদেশ ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। তাওহিদ হৃদয় ৫১ রানে ইনিংসের সর্বোচ্চ স্কোর করেন। মিরাজের সঙ্গে তাঁর ৪৩ এবং পারভেজের সঙ্গে ৪২ রানের দুটি জুটি ছাড়া বড় কোনো অংশীদারিত্ব আসেনি।
এ ছাড়া পুরো সিরিজেই ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল প্রকট। তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি। এ প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, ‘তিন ম্যাচেই ৫০ ওভার ব্যাট করতে না পারাটা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যান হিসেবে আমার আরও দায়িত্ব নিতে হবে।’
মিরাজের মতে, ইনিংস গড়তে না পারা ও ব্যাটিং ব্যর্থতাই সিরিজ হারার মূল কারণ, আর নিজের আউটেই ভেঙে পড়েছে দলের ব্যাটিং কাঠামো।
সারসংক্ষেপ:
মিরাজের স্বীকারোক্তি—তাঁর আউটেই চাপ বাড়ে।
বড় জুটি না গড়তে পারাই ছিল পরাজয়ের মূল কারণ।
তিন ম্যাচেই বাংলাদেশ ব্যর্থ ৫০ ওভার ব্যাট করতে।
মিডল অর্ডারে দায়িত্বের অভাব এবং পরিকল্পনার ঘাটতির কথাও বলেছেন অধিনায়ক।