ইশতিয়াক আহমেদ
তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক
ধরুন,আপনার শরীরের এক কোষের তথ্য অন্য কোষে চলে গেলে কেমন হবে! ঠিক এরকম একটি পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে সফল হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তারা কোনোরূপ সংযোগ ছাড়া এক কোষ থেকে আরেক কোষে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার একটি জৈবিক প্রক্রিয়া উদ্ভাবন করেছেন। আর এ পদ্ধতিটির নাম দিয়েছেন বায়োলজিক্যাল ইন্টারনেট বা ‘বাই-ফাই’।
তারা এই ‘বাই-ফাই’ তৈরিতে ‘এম১৩ ব্যাকটেরিওফাজ’ নামের ভাইরাস ব্যবহার করেছেন, যা পেন্সিল আকৃতির এবং এটি ক্ষতিকর নয়। এ ভাইরাস কোনো কোষের ডিএনএ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে অন্য কোষে পৌঁছে দিতে পারবে। এই ভাইরাসের সাহায্যে ৭ সেন্টিমিটার দূরের অন্য কোষে তথ্য পৌঁছে দেওয়া যাবে। আর তথ্য স্থানান্তরের পদ্ধতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তাছাড়া এম১৩ ভাইরাস ব্যবহার করে জৈব জ্বালানি, ওষুধ, রাসায়নিক উপাদান তৈরিসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যাবে। গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, কোনো জিনের তথ্য সংগ্রহ করে আশ্রয়দাতা কোষে এ ভাইরাসের পুনরুৎপাদন ঘটে। ভাইরাসটির ডিএনএ থেকে তন্তু আলাদা করে এর পুনরুৎপাদন প্রক্রিয়াটি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

জীববিজ্ঞানী অরটিজ জানিয়েছেন, কোষের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের জৈবিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এ প্রক্রিয়ায় সাধারণত এক কোষ থেকে অন্য কোষে তথ্য আদান-প্রদান সম্ভব হয়না। তবে এম১৩ ভাইরাসটি তারবিহীন যোগাযোগ মাধ্যমের চেয়ে আরো জটিল প্রক্রিয়ায় অতিরিক্ত তথ্য আদান-প্রদান করতে সক্ষম হবে। অন্যদিকে এম১৩ ভাইরাস থেকে মোবাইল ফোন চার্জ দেওয়ার মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এই ভাইরাস ব্যবহার করে হাঁটার সময় যে শক্তি ব্যয় হয় তা ব্যবহার করে মোবাইল ফোন চার্জ করা যাবে।
গবেষক সিউং উক লি জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত প্রতিটি মাইক্রোফোন পিজোইলেক্ট্রিক যাতে সীসা, ক্যাডমিয়ামের মতো বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এম১৩ ভাইরাসটি ব্যবহার করলে সীসা ও ক্যাডমিয়ামের মতো বিষাক্ত পদার্থের ব্যবহার বন্ধ হবে।