মো. মোস্তফা মুশফিক তালুকদার
একটা সময় বিজ্ঞান প্রযুক্তিমেলা ছিলো স্বপ্নের মত, খুব বড় কোনো প্রতিষ্ঠান সাধারণত আয়োজন করত বিজ্ঞান মেলা ও এ সম্পর্কিত ইভেন্ট। গুটি কয়েক প্রকল্প আসতো সেখানে। মানুষের আনাগোনা বা আগ্রহের যায়গাটাও ছিলো সীমিত। কিন্তু এখন সময় বদলে গেছে, ঢাকাসহ সারাদেশের মোটামুটি সচেতন সকল বিদ্যালয় ই আয়োজন করছে বিজ্ঞান মেলা, অনেক বেশী আগ্রহভরে অংশগ্রহণ করছে শিশু কিশোরেরা। তৈরি করছেন নানা বিজ্ঞান প্রকল্প। তবে প্রতিযোগিতার এপর্যায়ে এসে বাস্তবিক অর্থে এ সকল ইভেন্টের ফলে কতটুকু আসলে উন্নতি হচ্ছে দেশের জাতীয় ক্ষেত্রে, যে যায়গাটি কিন্তু প্রশ্নবিদ্ধ।রাজধানীর বিভিন্ন বিজ্ঞান মেলা ঘুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বেশীর ভাগ বিজ্ঞান প্রকল্পের এই মূল ভাবনা আসছে ইউটিউব বা ইন্টারনেট থেকে। সেখান থেকে তৈরি করা হচ্ছে প্রকল্প। অনেকে আবার এটাকেও ভালো দিক হিসেবেই দেখছেন। বলছেন, অন্ততপক্ষে ইন্টারনেট ঘেটে হলেও ছাত্ররা তৈরি করছে প্রকল্প। তাদের এই তৈরি করার ইচ্ছাটা আশাজনক।
এক বিজ্ঞানমেলায় বিশিষ্ট লেখক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেছেন, “তোমরা এ ধরণের আয়োজনে বেশী বেশী অংশগ্রহণ করো। কারণ, তোমাদের সমবয়সী থাকতে আমি তেমন কোনো পুরুষ্কার পাইনি। তবে, আজ আমি তোমাদের হাতে পুরুষ্কার তুলে দেয়ার সক্ষমতা অর্জন করেছি।” তবে, এধরণে উদ্যোগে প্রশংসা ও অনুপ্রেরণা প্রদান করছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর আইসিটি ডিভিশন। প্রকৃতপক্ষে এধরণের প্রকল্প বা চিন্তাধারা প্রকল্পের পর্যায়ে সীমাবদ্ধ না থেকে যদি বাস্তবায়িত হয় তবেই এসকল প্রকল্প নির্মাণ ও নির্মাতাদের মূল উদ্দেশ্য সাধিত হবে।