২০০৫ সালের প্রথম ভিডিও থেকে ২০ বছরে ইউটিউব হয়ে উঠেছে বিশ্বের শীর্ষ স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। দৈনিক বিলিয়ন বিলিয়ন ঘণ্টা ভিডিও দেখা হয়। তবে জনপ্রিয়তার পেছনে লুকিয়ে আছে এক নিঃশব্দ ডিজিটাল জগৎ, যেখানে কোটি কোটি ভিডিও একেবারে অদৃশ্য। গবেষকরা ১৮ ট্রিলিয়ন ইউআরএল বিশ্লেষণ করে দেখেছেন, ইউটিউবে গড়ে একটি ভিডিওর ভিউ মাত্র ৪১, আর ১৩০ এর বেশি ভিউ পাওয়া ভিডিও মাত্র ৩৩ শতাংশ। বাকি ভিডিওগুলো যেমন জন্মদিন, পরিবারের ছোট ছোট মুহূর্ত বা ব্যক্তিগত স্মৃতির মতো—যেগুলো মূলত কোনো বড় দর্শকের জন্য নয়, কেবল সংরক্ষণের জন্য।
গবেষকরা বলছেন, ইউটিউব শুধু হলিউড বা ইনফ্লুয়েন্সারদের প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং এটি বন্ধু ও পরিবারের জন্য ব্যক্তিগত ভিডিও রাখার জায়গাও। ৭০% ভিডিও ইংরেজির বাইরে, অনেক দক্ষিণ এশিয়া ও লাতিন আমেরিকার ভাষায়। অনেক ভিডিও ভাইরাল না হয়ে থাকাই ভালো, কারণ এগুলো তৈরি হয়েছে ‘পাবলিক’ নয়, বরং ব্যক্তিগত স্মৃতির জন্য।
এই অদৃশ্য ভিডিওগুলোর মধ্যে যেমন হাস্যরস, পারিবারিক মুহূর্ত থাকে, তেমনি ইউটিউবের অ্যালগরিদম যা জনপ্রিয় করে তোলে তা অনেক সময় নেতিবাচকতা ও বিভ্রান্তির কারণ হতে পারে। তবে বাস্তবে প্ল্যাটফর্মের অধিকাংশ কনটেন্ট নিরপেক্ষ ও মানবিক।
গবেষকরা মনে করেন, ইউটিউব এখনো মানুষের প্রকাশ, সংযোগ ও মানবিকতার এক নির্ভেজাল জগৎ, যেখানে ঝলমলে বিজ্ঞাপনের আড়ালে লুকিয়ে আছে অসংখ্য অজানা গল্প ও মুহূর্ত।