এক বছর মহাকাশে ছিলেন স্কট কেলি। আর এতে বদলে গেছে তার ডিএনএ। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমন চমকপ্রদ তথ্য উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহাকাশ থেকে ফেরার পর স্কট কেলির জিনের সঙ্গে তার যমজ ভাইয়ের জিন মিলিয়ে দেখা হয়েছে। আর তাতেই দেখা গেছে, মহাকাশচারী স্কটের জিন বদলে গেছে সাত শতাংশ! নাসার প্রতিবেদনে আরও বলছে, এক বছর আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে থাকার ফলে আগের থেকে দুই ইঞ্চি লম্বা হয়ে গেছেন স্কট। এছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হাড়ের গঠন, দৃষ্টিশক্তিসহ তার আরও কিছু শারীরিক পরিবর্তন ধরা পড়েছে।
প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, অক্সিজেনের স্বল্পতা এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনই স্কটের এসব শারীরিক পরিবর্তনের কারণ। তবে স্কটের ঘটনা ‘স্পেস জিন’ নিয়ে গবেষণার একটা দিক খুলে দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। মহাকাশে থাকাকালে মানবদেহে কিছু বিশেষ জিন সক্রিয় হয়ে ওঠে কি না, তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা গবেষণা চলছে। যমজ দুই ভাইকে নিয়ে এই পরীক্ষা বলেই নাসা প্রকল্পটির নাম দিয়েছে ‘টুইন স্টাডি’। এ কারণেই স্কটের মহাকাশে যাওয়ার আগে এবং সেখান থেকে ফেরার পরে দুই ভাইয়ের জিন নিয়ে তুলনামূলক পরীক্ষা করা হয়।
প্রসঙ্গত, স্কটের যমজ ভাই মার্ক কেলিও মহাকাশচারী ছিলেন। আর তারাই প্রথম যমজ মহাকাশচারী, যাদের ওপর এমন গবেষণা করা হল। সূত্র: টাইম ম্যাগাজিন