মো.মোস্তফা মুশফিক তালুকদার
বিজ্ঞান নিয়ে বাংলাদেশে কিছুটা মাতামাতি শুরু হয়েছে কদিন হলো মাত্র। এর মধ্যেই ধরা পরেছে নানা রকম সমস্যার কথা। গত কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতি র উদ্যোগে একত্রিত হয়েছিলো দেশের সনামধণ্য ৪৫টি ক্লাবের নিতি নির্ধারকেরা। উঠে এসেছে নানা সমস্যার কথা। যেমন : স্পন্সরশীপ বা অর্থসংকট, প্রকল্প বাছাই এ অনিয়ম, সরকারিভাবে সাহায্যের অভাব, বিদ্যালয় এবং পরিবারের চাপ, বিজ্ঞানমেলা কেন্দ্রিক ঝামেলা সহ অনেক কিছু। তাছাড়া রয়েছে প্রজেক্ট বা আইডিয়া বাস্তবায়ন না হওয়ার আক্ষেপ।
বর্তমানে দেশের সনামধণ্য বিদ্যাপীঠ এবং বিজ্ঞান ক্লাব গুলোর মধ্যে একটি হলো খিলগাঁও সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় বিজ্ঞান ক্লাব, সেখানকার বিগত বছরের দশম শ্রেণীর ছাত্র কৃষ্টি গৌরব সিনহা ও ফারহান আহমেদ এর রয়েছে বিজ্ঞান নিয়ে তৈরি প্রজেক্ট “গ্যাস লিকেজ ডিটেক্টর ” স্বল্প ব্যায়ের এই প্রকল্পটি ঘরে অনাকাঙ্ক্ষিত গ্যাস লিকেজ সনাক্ত করে বেল, লাইট এবং এটজাস্টার ফ্যানের মাধ্যমে সতর্ক করে বাঁচিয়ে দিতে পারে মানুষের জীবন। এমন একটি প্রজেক্ট পুরুষ্কার পেয়েছে। নটরডেম কলেজ, আইডিয়াল স্কুলের মত বড়বড় প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞান মেলায়। কিন্তু বাস্তবায়নের কোনো আশা এখনো পায়নি কৃষ্টি। এই নিয়ে আক্ষেপ তার। এমন হাজারো কৃষ্টি রয়েছে সারাদেশে যাদের অসাধারণ সব আইডিয়া কিছুটা সহযৌগিতার অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ছে। সদ্য বাংলাদেশের বিজ্ঞানে বড়বড় অর্জন পাওয়া যাচ্ছে নিশ্চই। তবে এগুলো আসছেনা বাস্তবায়ন পর্যায়ে। তাই এখন এসব ক্ষুদে আইডিয়াবাজ সহ সবার আশা এই, তাদের এসব আইডিয়া মরবেনা নিশ্চই। পাবে সহযোগীতা যা অনুপ্রেরণা হবে নতুন আবিষ্কারে।