বর্তমান ডিজিটাল যুগে ব্যক্তিগত তথ্য রক্ষা করা এক বড় চ্যালেঞ্জ। সোশ্যাল মিডিয়া, ব্যাংকিং, ইমেইল কিংবা স্মার্ট ডিভাইস—প্রতিটি ক্ষেত্রেই হ্যাকারদের চোখ। এ পরিস্থিতিতে একমাত্র শক্তিশালী পাসওয়ার্ডই হতে পারে সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষার প্রাথমিক প্রতিরক্ষা।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের মতে, একটি নিরাপদ পাসওয়ার্ড এমনভাবে তৈরি করা উচিত, যা অনুমান বা ব্রুট ফোর্স অ্যাটাকে ভাঙা কঠিন। এজন্য পাসওয়ার্ডে বড় হাতের ও ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং বিশেষ চিহ্নের সংমিশ্রণ রাখা জরুরি। উদাহরণস্বরূপ: B9#rT3@qL!
ধরনের পাসওয়ার্ড বেশি নিরাপদ।
পাসওয়ার্ড ব্যবহারে যেসব নিয়ম মানা উচিত:
-
নিজের নাম, ডাক নাম, জন্মতারিখ কিংবা পরিবারের কারও নাম পাসওয়ার্ডে ব্যবহার করবেন না।
-
অনুমানযোগ্য পাসওয়ার্ড (যেমন: 123456, password, qwerty ইত্যাদি) ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
-
পোষা প্রাণীর নাম বা বাস্তব শব্দভিত্তিক পাসওয়ার্ড ঝুঁকিপূর্ণ।
-
একাধিক অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করাই নিরাপদ।
-
প্রতিনিয়ত (১-৩ মাস পরপর) পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
-
যেখানে সম্ভব, টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখুন (যেমন: SMS কোড বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট)।
এছাড়া, ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ফোন, ইমেইল বা মেসেজে পাসওয়ার্ড বা পিন চাইলে কখনোই তা দেওয়া উচিত নয়। স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে লাইসেন্সড অ্যান্টিভাইরাস ও অ্যান্টিম্যালওয়্যার সফটওয়্যার ব্যবহার করাও গুরুত্বপূর্ণ।
নিরাপদ পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করলে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন যেকোনো ব্যবহারকারী। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তার প্রথম ধাপে সচেতনতার বিকল্প নেই।