আব্দুল্লাহ আল নোমান
শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক শুরু থেকেই ছিল। প্রশ্নফাঁসের কেলেঙ্কারি নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় চলছে বিগত কয়েক বছর ধরেই। প্রতি নিয়ত শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নতুন নতুন পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি এত সব পরীক্ষা কেন শুধু এইচএসসি-২০১৭ ব্যাচের উপরই করা হচ্ছে। তাদেরকেই কেন বারবার করা হচ্ছে বলির পাঠা। এরই প্রক্ষিতে শিক্ষাব্যবস্থা সর্বশেষ সংযোজিত হলো নতুন গ্রেডিং সিস্টেম। এতে শিক্ষাবোর্ড থেকে নির্ধারন করে দেয়া হবে এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।
এই খবরের জের ধরে “বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ” এর একজন শিক্ষার্থী প্রচন্ড আক্ষেপ জানিয়েছেন তার ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে। তিনি বলেন যে তার ব্যাচ প্রথম বারের মত পন্ঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে।
এছাড়াও স্বল্প নোটিশে জেএসসি,নতুন গ্রেডিং সিস্টেমে এসএসসি এবং এবারই প্রথম বারের মতো সাতটি সৃজনশীলের মাধ্যমে বোর্ড পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে। উল্লেখ্য সাতটি সৃজনশীল বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যেই মানববন্ধন সংঘটিত হয়েছে।
মেহেদি হাসান জয় নামের এই শিক্ষার্থী প্রচন্ড আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন যে তিনি সকলের মঙ্গলের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে চাইলেও এত ভোগান্তির কারনে আগামী নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগে ভোট দেবেন না। তিনি এও জানান শিক্ষাবোর্ডের এমন সব সিদ্ধান্ত গড়ে তুলছে একটি হতাশাগ্রস্থ জাতি। এমন অবস্থায় যদি শিক্ষাবোর্ডে যদি পরিবর্তন না আসে তবে হয়ত এই চৌদ্দ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভোট থেকে আওয়ামী লীগ বন্ঞ্চিত হবে।