ইভান পাল
আজ সোমবার ৭ অক্টোবর সকাল থেকে পূজামণ্ডপগুলোতে কল্পারম্ভ আর নবমী বিহিত পূজা শুরু হয়।
এরপর দেবীকে অঞ্জলি দেন ভক্তরা।
শাস্ত্র মতে, শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে এই মহানবমীর পূজা হয়ে থাকে । নানা আচারের মধ্য দিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি অঞ্জলি নিবেদন ও ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। মূলত আজ চতুর্থ দিনই পূজার শেষ দিন। অষ্টমী এবং নবমীর সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা। নবমীর মূল আকর্ষণ থাকে এই সন্ধিপুজো।।
পুরাণমতে, মহিষাসুর নিধনের সময় দেবী দুর্গা প্রচণ্ডক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই পূজার এই আচারের সময় দেবীকে চামুন্ডা রূপে পূজা করা হয় অর্থাৎ যিনি চণ্ড ও মুণ্ডের বিনাশিনী। পূজার এই মুহূর্তটি আরও একটি কারণে স্মরণীয়। দেবী দুর্গার আশীর্বাদ নিয়ে শ্রীরামচন্দ্র নবমীর এই মুহূর্তেই রাবণকে বধ করেছিলেন।
এদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার মর্ত্য ছেড়ে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীর দিনটিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসব।