নিউজ ডেস্ক
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র সামসুল আলম সিয়াম(১৫) নামের এক তরুণের লাশ গত বৃহস্পতিবার নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে শুক্রবার ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারে কাছে লাশ হস্তান্তর করে হয়েছে।
সিয়ামরা একভাই-একবোন।সিয়াম ছোট।তার বড়বোন একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার পরিবার জানান,স্কুলে যাওয়ার কথা বলে গত মঙ্গলবার মিরপুরের বাসা থেকে বেরিয়েছিল সিয়াম। কিন্তু পরে তার সন্ধান না পেয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার বিকালে পেস্তগোলা ব্রিজের নিচে বুড়িগঙ্গায় সিয়ামের লাশ ভেসে উঠলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ তা উদ্ধার করে।উদ্ধারের সময় তার পরনে ছিল স্কুলের ইউনিফরম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার একাধিক সহপাঠী বলে, সিয়াম এবার প্রি টেষ্ট পরীক্ষায় দুই বিষয়ে ফেল করে।তার পরে তার অভিভাবক আনতে বলা হয়।অভিভাবক না নিয়ে আসায় তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হয়।ক্লাসে তাকে কানে ধরিয়ে ধার করিয়ে রাখা হয়। এমন কি তাকে মারধরও করে তার শ্রেণিশিক্ষক।

এদিকে সিয়ামের পরিবারের অভিযোগ, কলেজের অংকের শিক্ষক হিসাব আলীর কাছে প্রাইভেট পড়া বাদ দেওয়ায় সিয়ামকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল। উল্লেখ্য অংকের শিক্ষক তার শ্রেণিশিক্ষক।
এদিকে কলেজের একাধিক ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায় কোন শিক্ষার্থী কোন পরীক্ষায় ফেইল করলে তাদের অভিভাবক ডেকে অপমান করা হয়।অনেকসময় কলেজ থেকে বদলিপত্র নিতে বাধ্য করা হয়।
ফেইল করা এক শিক্ষার্থীর মায়ের সাথে কথা বলে অভিযোগের সত্যতা মিলে।তিনি বলেন,তার ছেলে নবম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ফেইল করে।তখন তাকে ডেকে অপমান করা হয় এবং তার ছেলেকে সাময়িকভাবে শ্রেণিপাঠদান থেকে বহিষ্কার করেন।পরে তিনি বিভিন্নভাবে বুঝাতে চেষ্টা করেন।পরে কলেজ অঙ্গিকারনামা দিয়ে ছেলেকে শ্রেণিপাঠদানে অংশগ্রহণ করতে বলেন।
এদিকে তার সহপাঠীরাসহ সবাই তার বিচারের দাবি করে বলে, তারা এমন অত্যাচার সহ্য করবে না।আর কোন সিয়ামকে যেন না হারাতে হয় তার জন্য সরকার এবং শিক্ষামন্ত্রনালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।