সুরাইয়া হেনাঃ
আজকের এই দিনে আমরা ঠিক কতটা প্রযুক্তি আর ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল বা আসক্ত হয়ে গেছি সেটা সহজেই বোঝা যায় কিছু সময়ের জন্য নেটওয়ার্কের বাহিরে গেলেই। সেখানে একটা গ্রাম জুড়ে বিদ্যুৎ নেই,নেই প্রয়োজনীয় অনেক সুযোগ সুবিধাও। কেমন লাগবে এমন একটা জায়গায় কিছুদিন কাটলে?

টাঙ্গাইল,মাকড়কোলার ধোপাকান্দি গ্রাম। টাঙ্গাইল শহর থেকে বেশ ভেতরে এই গ্রামটি। এলাকায় বিদ্যুৎ নেই মূলত। রাস্তাঘাট কাঁচা। পাশে যমুনা নদীর ভাঙ্গন। ধোপাকান্দি সরকারি বিদ্যালয়টি এ নিয়ে ভাঙ্গনে পড়লো দুইবার। গ্রামটিও নেই পুরোপুরি। বর্তমানে স্কুলের সভাপতি চাঁনমিয়া মন্ডলের বাড়ির দুইটি ঘরে চলছে বাচ্চাদের পড়াশোনা, স্কুলের কাজ। সুবিধাবঞ্চিত এই গ্রামে গত ১১আগস্ট ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প হয় চিলড্রেন’স হ্যাভেনের উদ্যোগে। সহযোগিতায় ছিলো ‘কিউরিস’ ও ‘জাদুর ক্যাফে’।

চিলড্রেন’স হ্যাভেন সেন্ট্রাল টিম(ঢাকা) থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি এস এম আল মাহমুদ,অর্থ সম্পাদক মাহমুদ ইমরান,অফিস সম্পাদক নাজমুল হুদা ও চাইল্ড রিসোর্স সেক্রেটারি। কিউরিস থেকে চিকিৎসা সেবা প্রদানে ছিলো ড. আনিকা,ড.ফারুক, ড.হৃদয়,রিফাত,রিশা,বুশরা,জান্নাত ও সামান্তা। পুরো ক্যাম্পটি শৃঙখলার সাথে পরিচালনা করার জন্য ছিলো চিলড্রেন’স হ্যাভেন টাঙ্গাইলের সকল ভলান্টিয়ার। ২০০জন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার কথা থাকলেও সংখ্যাটা ছাড়িয়ে যায়।

আর শুধু শিশুই না,সুবিধাবঞ্চিত সে গ্রামের অভিভাবকেরাও পায় চিকিৎসা সেবা। বিনামূল্যে ওষুধও বিতরণ করা হয় সবার মাঝে। চিলড্রেন’স হ্যাভেন একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করছেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে। টাঙ্গাইলে কাজ শুরু করেন এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। সেখানে কাজ করছে ৪০এর ও বেশি ভলান্টিয়ার। তারা শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ দেয়া,ক্লাস নেয়া,ছবি আঁকা শেখানো,সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থী-অভিভাবক নিয়ে সভার আয়োজন, আর্থিক সহযোগিতা দেয়া সহ আরো বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছে।
