সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি), দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) এবং ন্যায়পালের নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। তবে এ বিষয়ে বিএনপিসহ পাঁচটি দল ও জোট ভিন্নমত জানিয়ে নোট অব ডিসেন্ট দেবে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের ২৩তম দিনে এ সিদ্ধান্ত উপস্থাপন করে কমিশন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “নিয়োগের জন্য শক্তিশালী আইন প্রয়োজন, তবে সংবিধানে নিয়োগ কমিটির বিধান যুক্ত করা অনুচিত।” আলোচনায় জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম ও আমজনতার দল একই অবস্থান নেয়।
বাছাই কমিটির মাধ্যমে নিয়োগের প্রস্তাব
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, উল্লিখিত দল ও জোটগুলোর আপত্তি সত্ত্বেও কমিশন বাছাই কমিটির মাধ্যমে নিয়োগের একটি পৃথক প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী পিএসসি, দুদক, সিএজি এবং ন্যায়পালের নিয়োগ বিষয়ে সংবিধানে সুনির্দিষ্ট বিধান অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
দুদককে সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার প্রস্তাব
কমিশন সুপারিশ করেছে যে, দুর্নীতি দমন কমিশনকে একটি পূর্ণাঙ্গ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হোক। এ বিষয়ে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ দলের মধ্যে সমর্থন থাকলেও বিএনপি ও তার সমমনা জোট এ বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছে।
নির্বাচন কমিশন নিয়ে একমত
এদিকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) নিয়োগ সংক্রান্ত বিধান সংবিধানে যুক্ত করার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।
প্রেক্ষাপট
এর আগে সংবিধান সংস্কার কমিশন, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি)-এর মাধ্যমে এসব নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের আপত্তির পর কমিশন বাছাই কমিটির মাধ্যমে নিয়োগের নতুন প্রস্তাব দেয়।
সূত্র: জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের বক্তব্য