রিপোর্ট: সাবা সিদ্দিকা সুপ্ত
আজ থেকে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দীপাবলি। পাঁচদিন ব্যাপি উদযাপিত এই আলোকিত উৎসব নবরাত্রি বা বাঙালী দুর্গোৎসব শেষ হওয়ার ১৮ দিন পর শুরু হয়। আশ্বিনমাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশীর দিন ধনতেরাস অথবা ধনত্রয়োদশী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুভ সূচনা হয় দীপাবলির। কার্তিক মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে ভাইফোঁটা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এর সমাপ্তি ঘটে।
বিশ্বব্যাপী হিন্দুধর্মাবলম্বীরা অনেক আয়োজন এবং ভক্তি সহকারে দীপাবলি উদযাপন করে। ‘দীপাবলি’ শব্দের অর্থ প্রদীপের সমষ্টি। এই দিন হিন্দুরা ঘরে ছোট ছোট মাটির প্রদীপ জ্বেলে সাজিয়ে রাখেন। এই প্রদীপ জ্বালানো অমঙ্গল বিতারনার প্রতীক। বাড়িঘর পরিষ্কার করে ঘরে প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখলে ঘরে লক্ষী আসে বলে ভারতীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে। প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি হরেক রকম বাজি এবং পটকা জ্বালিয়ে দীপাবলির আনন্দ উপভোগ করা হয়।
দীপাবলির প্রথম দিনটিকে বাঙালী, আসামীয় এবং উড়িয়ারা কালিপূজার মাধ্যমে পালন করে। দ্বিতীয় দিনটিকে বলে ‘ভূত চতুর্দশী’। চতুর্থ দিন ‘কার্তিক শুক্লা প্রতিপদ’ এবং পঞ্চম দিন ভাইফোঁটা। এই দিন বোনেরা তাদের ভাইয়ের জন্য উপোস করে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে।
দিনটি বাংলাদেশসহ, ভারত, নেপাল, মিয়ানমার, শ্রীলংকা, মরিশাস, গুয়ানা, ত্রিনিদাদ, সুরিনাম, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ফিজিতে সরকারি ছুটির দিবস হিসেবে প্রতিবছর পালিত হয়।
বাংলাদেশের ছোট বড় প্রায় সব মন্দিরে এই দিনটিতে করুণাময়ী শ্যামাপূজা বা কালিপূজার আয়োজন করা হয়।