রিপোর্ট: সাবা সিদ্দিকা সুপ্ত
কুষ্টিয়ার লালন আখড়ায় আজ থেকে পাঁচদিন ব্যাপি শুরু হয়েছে “লালন স্মরণ উৎসব ২০১৭।” উৎসবে অংশ নিয়েছে শতাধিক নবীন প্রবীণ লালন এবং পল্লী বাউল শিল্পীরা। আসল লালন গান চর্চা ও লালনের সাম্যবাদকে ধরে রাখাই এত বছরের পালিত লালন উৎসবের মূল উদ্দেশ্য। জাত- কূল বিহীন লালনের জন্মতারিখ জানা না থাকলেও ১৭ই অক্টোবরের এই দিনটিকে কেন্দ্র করে ‘সাঁইজি’-র জন্মদিবস এবং দোল পূর্ণিমা রাত্রি উদযাপন করা হয়।
ইংলিশ ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এবং বিশিষ্ট লেখক ড. রশিদ আশকারি বলেন, “বর্তমান স্যাটেলাইট যুগের টানাপোড়েন এবং প্রযুক্তির প্রভাবে তরুণ প্রযন্মের শিল্পী এবং শ্রোতাদের বিভিন্ন রিমিক্স মিউজিক ভার্সনের দিকে অগ্রসর হওয়ার দরুণ তারা ভুলে যাচ্ছে আপন মাটির শেকড়ের গানগুলোকে।”
পাঁচদিন ব্যাপি “লালন স্মরণ” আয়োজনে সমাগম ঘটছে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত লালন ভক্তদের। উৎসবে অংশ নেয়া এক বাউল লালনের কন্ঠে নিজের কন্ঠ মিলিয়ে বলেন, “সময় গেলে সাধন হবে না। তাইতো সাঁইজির সাধনায় আমৃত্যু মত্ত আমি এবং আমার মতো লালন সাধকরা।”
কুষ্টিয়ার লালন আঁখড়ায় আয়োজিত এই উৎসবে অতিথি হিসেবে প্রথম দিন উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ও লালন একাডেমির প্রেসিডেন্ট সৈয়দ বেলাল হোসাইন। তার মতে ভক্ত ও বাউলের এই বিশাল মিলনমেলা যেমন লালন প্রেরণাকে আমাদের অন্তরে লালন করবে, তেমনি আমাদের দেশের ঐতিহ্য বাউল গানকে টিকিয়ে রাখতে অগ্রপন্থি ভূমিকা রাখবে।
