– নাহিদ আহসান ||
সকাল তখন ১০ টা, হারমান মেইনার কলেজের সামনে আস্তে আস্তে জড়ো হতে থাকে হারমান মেইনারের শিক্ষার্থীরা, প্রতিষ্ঠান বন্ধ,তবুও ইউনিফর্ম পড়ে তারা এসেছে। কিন্তু কেন?
এসেছে নিরাপদ সড়কের দাবীতে আন্দোলন করতে। কিছুক্ষণ পর আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের কিছু প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ এক মানববন্ধনে নামে তারা, কলেজের সাম্নেই। কলেজের কিছু শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এই শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে যোগ দেয়। শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনের পাশাপাশি আরও নানানরকম কাজ করতে থাকে।
রাস্তায় রিক্সা,সিএনজি,বাস,প্রাইভেট কারের জন্য আলাদা আলাদা লেইন করা,এম্বুলেন্স যেন নিরাপদে পৌঁছে,সেই খেয়াল রাখা। রিক্সা এক লেনে চলার ব্যবস্থা করা। গাড়ির লাইসেন্স চেক করা ইত্যাদি। রোগীদের নিরাপদে পৌঁছে দেয়া, নারীদের নিরাপত্তা,প্রায় সর্বপ্রকার জনকল্যাণ ই করার চেষ্টা করে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
গাড়ির লাইসেন্স চেক করতে গিয়ে প্রায় ষাটখানেক এর উপরে গাড়ির চাবি জব্দ করা হয়,কেননা এদের কোনোপ্রকার কাগজপত্র ঠিক ছিলো না।
পুলিশ সার্জেন্টের উপস্থিতিতে অইসব গাড়ি চালকের বিরূদ্ধে মামলা করা হয় এবং চাবি দেয়া হয়। কিন্তু এরপরেও প্রায় অনেক চাবি জব্দ করা হয়, যা পরবর্তীতে মিরপুর-১০ নম্বর পুলিশ বক্সের সামনে মিডিয়ার উপস্থিতিতে সার্জেন্টের কাছে হস্তান্তর করে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা যখন যৌক্তিক দাবী আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করছে, পুলিশ তখন একাত্মতা প্রকাশ করবে,এটাই স্বাভাবিক। পুলিশ এর সহায়তায় শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন করা এ আন্দোলন শেষ হয় দুপুরের পর পর।এ সময় শিক্ষার্থীরা দাবী জানায়, যতোদিন নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা পরিবর্তন করে ঠিক না করা হবে,ততোদিন সবাই আন্দোলন চালিয়ে যাবে।