কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলার অভিযোগে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, আন্দোলন হলেও তাদের ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার সংসদে ভাষণে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার কথাও তিনি বলেছেন। তিনি বলেন, এই কোটা বহাল রাখতে হাই কোর্টের রায় রয়েছে।
সরকার চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল সংসদেই বক্তব্যে কোটা বাতিলের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমি তো বলেছি টোটাল কোটা বাদ দিতে। কিন্তু হাই কোর্টের রায় রয়েছে। এই রায় অবমাননা করে তখন তো আমি কনটেম্পট অব কোর্টে পড়ে যাব।
“আমরা তো কেবিনেট সেক্রেটারি দিয়ে একটি কমিটিও করে দিয়েছি। তারা সেটা দেখছে। তাহলে এদের অসুবিধাটা কোথায়?”
তিনি আরও বলেন, কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে এখনই মেধা তালিকা থেকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এটা কয়েক বছর ধরেই চলছে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত এপ্রিল মাসের আন্দোলনের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা কি আন্দোলন না কি? উচ্ছৃঙ্খলতা কখনও বরদাস্ত করা যায় না।”
কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাড়িতে হামলা হয়েছিল, ওই হামলার মামলায় আন্দোলনকারী কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, “ক্যামেরা দেখে একটা একটা করে খুঁজে বের করা হচ্ছে। ভিসির বাড়িতে যারা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করেছে, আক্রমণ করেছে, তাদের তো ছাড়া হবে না। তাদের ছাড়া যায় না। তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তদন্ত করা হচ্ছে। অনেকে স্বীকারও করছে।
“যত আন্দোলনই হোক না কেন এদের ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই হবে। কারণ এরা লেখাপড়া শিখতে আসেনি।”