ময়মনসিংহের ভালুকায় বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৩০ মার্চ) সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীপ্ত সরকারের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় দীপ্তসহ চার বন্ধুর মৃত্যু হলো। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৪ মার্চ দিনগত রাতে ভালুকার মাস্টার বাড়ি এলাকার একটি ছয়তলা ভবনের তিনতলায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে তৌহিদুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। গুরুতর দগ্ধ হন দীপ্ত সরকার, শাহীন মিয়া ও হাফিজুর রহমান। তারা সবাই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী। স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেড নামে একটি কারখানায় ইন্টার্ন করতে তারা চার সহপাঠী মিলে গিয়েছিলেন ময়মনসিংহের ভালুকায়।
দগ্ধ তিনজনকে রোববার (২৫ মার্চ) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার (২৮ মার্চ) রাতে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান দগ্ধ শাহীন। বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) দিনগত রাত দেড়টার দিকে ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হাফিজুর রহমানও (২৪)।
সিরাজগঞ্জের নুরুজ্জামান আকন্দের ছেলে শাহীন মিয়ার শরীরের ৮৪ শতাংশ, নওগাঁ জেলার বিল্লাল হোসেনের ছেলে হাফিজুর রহমানের ৫৮ শতাংশ এবং দীপ্তর শরীরের ৫৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিলো।