আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে গেছেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদল। সোমবার বিকাল সাড়ে দিকে কোটা সংস্কারের দাবি নিয়ে আন্দোলনকারীদের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে।
এর অাগে, রবিবার সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধকে কেন্দ্র করে, রাজধানীর শাহবাগসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। রাত দেড়টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও গাড়িতে আগুন দেন শিক্ষার্থীরা। এতে ক্যাম্পাসজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯জন আন্দোলনকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, রবিবার বিক্ষোভের সময় আটককৃতদের আজকের মধ্যে মুক্তি না দিলে সারা দেশের সড়কপথ অচল করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতরা রবিবার বিকেল ৩টায় অবস্থান নেয় শাহবাগ মোড়ে। প্রায় পাঁচ ঘন্টা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্টে অবস্থান নেয়ায় আশপাশে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। পুলিশ শিক্ষার্থীদের বারবার রাস্তা থেকে সরে যেতে বললেও, শিক্ষার্থীরা তাদের দাবিতে অটল থাকেন। সে সময় তারা বলেন, সংসদে চলা অধিবেশন থেকে কোটা সংস্কারের বিষয়ে ইতিবাচক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না।
রাত ৮টার দিকে পুলিশ আন্দোলনকারীদের সরাতে লাঠিপেটা শুরু করে। পরে, আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্বিবদ্যালয় ক্যাম্পাস, চারুকলা, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও রাজু ভাস্কর্যের সামনে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। রাস্তায় আগুন দিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এ পর্যায়ে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর রাতভর দফায় দফায় চলতে থাকে এ সংঘর্ষ।
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে বেশ কিছু দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। নানা কর্মসূচি পালনের পর রবিবার পদযাত্রার কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগে অবস্থান নেয় তারা। গেল ১৪ই মার্চ তারা ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিতে সচিবালয়ে যেতে চাইলে পুলিশি ধরপাকড় ও আটকের শিকার হন শিক্ষার্থীরা। প্রসঙ্গত; সরকারি চাকরিতে এখন ৫৬ শতাংশই কোটা থেকে পূরণ করার বিধান রয়েছে।