জুবায়ের ইবনে কামাল
দেশের বর্তমান উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা চাহিদা মোতাবেক থাকলেও দেশে নতুন শ’খানেক কলজের দিয়েছে শিক্ষামন্ত্রনালয়। প্রয়োজন না থাকার পরেও শুধুমাত্র বানিজ্যিক কারণে তৈরীকৃত কলেজগুলো প্রভাবশালীদের তদবির ও রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন দেয়া হচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন খোদ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তারাও!
অনুসন্ধানে দেখা যায়, দেশের কলেজের সংখ্যা প্রায় চার সহস্র। সেখানে শুধু উচ্চমাধ্যমিকই নয় ; বরং স্নাতক, স্নাতক সম্মান এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পাঠদান করা হয়ে থাকে। দেশের আটটি বিভাগে কেবল উচ্চমাধ্যমিক কলেজই রয়েছে প্রায় দু’হাজার ২০০ টি। প্রতিবছরই এগুলোর বিভিন্ন শ্রেণীতে বিপুল সংখ্যক আসন খাকি থাকছে। চলতি বছরই একাদশ শ্রেণীতে আসন খালি রয়েছে দেড় লাখের বেশী। তবুও কেন নতুন কলেজের অনুমোদন- এই প্রশ্নের সঠিক জবাব নেই কারো কাছে।
প্রতিবছর নতুন নতুন কলেজ তৈরী হওয়ায় বিপাকে পড়ছেন শিক্ষার্থীরা। তাই এসব ‘ব্র্যান্ড নিউ’ কলেজে ভর্তি হতে চাইছেন না শিক্ষার্থীরা। কলেজগুলো তাই শিক্ষার্থী সংকটে ধুঁকছে। এমতাবস্থায় সরকার গত শিক্ষাবর্ষে ১৪৩টি কলেজে পাঠদান বন্ধ করেছে। চলতি বছরও বন্ধের প্রক্রিয়ার মধ্যে চলছে ২৮০টি কলেজ।
শিক্ষামন্ত্রনালয়ের তথ অনুযায়ী দেশে কলেজের সংখ্যা প্রায় চার হাজার ২০০টি। এরমধ্যে সরকারি কলেজ ৩৩৫টি। সরকারিকরণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো প্রায় ১৯৯টি কলেজ। বাকীগুলো বেসরকারি কলেজ। দেশে প্রয়োজনের চেয়ে সংখ্যায় বিপুল পরিমান কলেজ বেশী রয়েছে বলেও জানায় তারা।