নাহিদ আহসান।
আন্দোলনের গতি কমাতে সরকারী সিদ্ধান্তে বন্ধ করা হয়েছে সামান্য কোচিং সেন্টার থেকে শুরু করে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এরপরেও যৌক্তিক দাবী পূরণের জন্য স্কুল-কলেজের পোশাক পড়েই বুক ভর্তি মানবিকতা নিয়েই রাস্তায় নামে শিক্ষার্থীরা। শুধু শ্লোগান কিংবা মানববন্ধনেই নয়, সড়ক বিভাগের সব কয়টা কাজ দারুণ শৃঙখলার মধ্যে করে শিক্ষণীয় উদাহরণ স্থাপন করে দেখিয়েছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। জনগণের ভোগান্তি না করে, করেছে সর্বোচ্চ সহায়তা।
ক্ষুদে এ শিক্ষার্থীদের এমন উদ্দ্যেগে যেখানে সবাই বাংলাদেশের প্রশাসনকে কিছু শিক্ষা নেয়ার দাবী জানাচ্ছিলো ঠিক তখনই দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রশাসনের পুলিশই করে দেখিয়েছে নৃশংস কর্মকান্ড। শুধু লাঠিচার্জেই থেমে থাকে নি এরা, ক্ষুদে এ শিক্ষার্থীদের প্রতি লক্ষ্য রেখে করেছে ফাঁকা গুলিবর্ষণ। মোটা আকারের লাঠি দিয়ে পেটানো হয়েছে শখানেক শিক্ষার্থীকে।
বিকেল তখন ৩ টা, মিরপুর-১০ এ আন্দোলন চলছিলো একদম শান্তিপূর্ণ ভাবে। হঠাৎ খবর এলো মিরপুর ১৪ নম্বর পুলিশেরা নাকি শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করছে। শয়ে শয়ে শিক্ষার্থী নিজেদের ভাইদের বাঁচানোর জন্য যখন সেখানে যায় দ্রুত, বিভৎস পুলিশেরা যেন পেয়ে যায় অধিক শিকার। একেরপর এক শিক্ষার্থীকে ধরে মারতে থাকে।
শুধু পুলিশ না,পুলিশের সাথে ছিলো লাঠিসোটা নিয়ে দাঁড়ানো একদল যুবক। সেই যুবকেরা নাকি ছাত্রলীগের লোক ছিলো,দাবী করেছে অনেক শিক্ষার্থী। পুলিশের পাশাপাশি এসব লাঠিধারী যুবকেরাও হাত দেয় শিক্ষার্থীর গায়ে। খুব খারাপ একটি ঘটনা আজ বিকেলে তারা ঘটাতে খুব সহায়তা করে। আর যদি এরা সরকারদলীয় ছাত্রলীগও না হয়, তাহলে ছাত্রদের মারতে পুলিশকে মদদদাতা কারা ছিলো সেই যুবক?
মিরপুর-১৩ এবং মিরপুর-১৪ নম্বরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয় এইসকল লাঠিধারী যুবক এবং পুলিশেরা।আসলেই কারা এ যুবক?
কোন কারনে এবং কোন উষ্কানীতে তারা এমন হীন কর্ম সাধন করলো তা এখনও জানা যায়নি। শিক্ষার্থীদের উপর এমন অত্যাচারের দায় আসলেই কে নিবে?
সরকারের সিদ্ধান্তে কি পুলিশ এমন করেছে?
নাকি অন্য কারণ?