তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সার্বিক প্রক্রিয়ায় বড় ধরণের প্রশ্নের মুখে পড়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও প্রতিষ্ঠানটি তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ করছে বিরোধী রাজনীতিকরা।
নানা অঘটন আর অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে রাজশাহী, বরিশাল এবং সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন। অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল, ভোট জালিয়াতি থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্র দখল, মেয়র প্রার্থীর ওপর নিপীড়ন, ভোটকেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া ইত্যাদি।
নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক হতাশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা।
দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবী করেছেন, ভোট অবাধ ও সুষ্ঠু হলে বিএনপি প্রার্থীরা তিন সিটিতেই বিপুল ব্যবধানে জয়ী হতো। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন,”ক্ষমতাসীন সরকার একতরফাভাবে নির্বাচন করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে। কারণ এই নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনার মতো বিশ্বাসযোগ্যতা নেই,”
সিটি নির্বাচনে অনিয়মের যে অভিযোগ বিএনপি তুলেছে, তা উড়িয়ে দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা। তাদের দাবি নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নির্বাচনকে বিতর্কিত করে তোলা।
“‘বিএনপি নির্বাচন করার জন্য তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেনি। তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে এই নির্বাচনকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য,” মিঃ কাদের বলেন।
”সিলেটে আমাদের প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। তবুও এটাকে আমরা পরাজয় বলবো না। কারণ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে,” তিনি বলেন।
পর্যবেক্ষক শারমিন মুর্শিদ,বলেন, নির্বাচনের মান মূলত নির্ভর করে ইসির দক্ষতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল আচরণের ওপর। সেই জায়গাটাতেও ঘাটতি দেখতে পাচ্ছেন তিনি।
”নির্বাচন কমিশন যতোই দক্ষ হোক না কেন, দিনশেষে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ নির্বাচনের মানের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে,” তিনি বলেন।
এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলার মধ্যে আনা নির্বাচন কমিশনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি।