বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ সাজাপ্রাপ্ত ছয়জন আসামিকে ‘রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধী’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন আদালত। ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার রায়ের পর্যবেক্ষণে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ কথা বলেছেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কে পাঁচ বছরের সাজা প্রদান করে দেওয়া পূর্ণাঙ্গ রায়ের (৬৩২ পৃষ্ঠা) সার্টিফাইড কপি হাতে পান তার আইনজীবীরা।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাগনে মমিনুর রহমান। এর মধ্যে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
আদালত বলেছেন, মামলার দণ্ডিত আসামিদের পরস্পরের যোগসাজশে সরকারি এতিম তহবিলের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। সে সময় খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা হয়েও খালেদা জিয়াকে সরকারি এতিম তহবিলের ব্যাংক হিসাব খুলতে সহায়তা করেছেন। দুটি প্রাইভেট ট্রাস্টের অনুকূলে সরকারি অর্থের চেক বেআইনিভাবে দিয়েছেন তিনি, যা অপরাধে সহায়তার শামিল। আসামি তারেক রহমান, মমিনুর রহমান ও শরফুদ্দীন আহমেদ কৌশল অবলম্বন করে সরকারি এতিম তহবিলের টাকা পরস্পরের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন।
আদালত মনে করেন, এই মামলার ছয় আসামিই প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে লাভবান হয়েছেন। তারা রাষ্ট্রীয় অর্থনৈতিক অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।