সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলন স্থগিত ছাড়াও দ্রুত গেজেট প্রকাশ ও মামলা প্রত্যাহারসহ ৬ দফা দাবি পেশ করেন তারা। এছাড়া শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘মাদার অফ এডুকেশন’ উপাধিতে ভূষিত করেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাশেদ খান বলেন, ‘কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ। তিনি আমাদের সকল দাবি রেখেছেন। আমাদের কথা শুনেছেন এজন্য আমরা সব সময় তাঁর পাশে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা দ্রুত বাস্তবায়নের প্রজ্ঞাপন জারি করা হোক।’ এসময় প্রধানমন্ত্রীকে মমতাময়ী মা সম্বোধন করে তিনি বলেন, তরুণ সমাজের কথা তিনি (প্রধানমন্ত্রী) শুনেছেন, তরুণদের পাশে আছেন এজন্য আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা তরুণ সমাজও প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকতে চাই।’
রাশেদ খান আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার পুলিশ বাহিনী আমাদের ওপর যে হামলা করছে, এই হামলায় যেসব পুলিশ সদস্য জড়িত তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হোক। তাদের শাস্তি প্রদান করুন।
‘মাননীয় উপাচার্যের বাসায় ষড়যন্ত্রকারীরা হামলা চালিয়েছে এবং এ বিষয়ে অজ্ঞাতদের উপর মামলা করা হয়েছে। আমরা চাই এই মামলায় যাতে কোনো সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার না করা হয় এবং যারা প্রকৃত পক্ষে দোষী তাদের আইনের আওতায় এনে গ্রেফতার করা হোক।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আন্দোলনকে সমর্থন করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা সফলতার দ্বারপ্রান্তে এসে পৌঁছেছি।