সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের সহানুভূতির দৃষ্টিতে দেখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।
বৃহস্পতিবার সংসদের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সরকার প্রধানের প্রতি এই আহ্বান জানান বিরোধীদলীয় নেতা।
রওশন বলেন, “কোটা নিয়ে ছেলে-মেয়েদের মধ্যে অনেক বিভ্রাট দেখা যাচ্ছে। কোটা নিয়ে আন্দোলন করছে। তারা তো আমাদের সন্তান। তারা তো আব্দার করবেই। তারা তো চাকরি চাইবে। তাদের চাকরিতে যেমন করে হোক প্রোভাইড করতে হবে। চাকরি দিতে হবে।
“প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে সচেতন আছেন চেষ্টা করছেন। মাননীয় স্পিকারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো তিনি যেন সহানুভুতির দৃষ্টি নিয়ে এই বিষয়টি বিবেচনা করেন।”
চলতি অধিবেশনের বাজেট বক্তৃতাতেও প্রধামন্ত্রীর প্রতি একই আহ্বান জানিয়েছিলেন জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো-চেয়ারম্যান রওশন।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োগে মোট ৫৬ শতাংশ পদ বিভিন্ন কোটার জন্য সংরক্ষিত; এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য রয়েছে ৩০ শতাংশ পদ।
কোটার মোট পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবিতে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’। তাদের আন্দোলনের এক পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১১ এপ্রিল সংসদে বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতিই আর রাখা হবে না।
রপর প্রধানমন্ত্রীর ‘ঘোষণা’ অনুযায়ী কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামার পর তাদের উপর হামলায় হয়, কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তারও করে পুলিশ।
এদিকে গত ২ জুলাই সরকার একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন দিতে বলে। ওই কমিটি গত ৮ মে তাদের প্রথম বৈঠকে কর্মপন্থা নির্ধারণের পাশাপাশি কোটার বিষয়ে দেশি-বিদেশি তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয়।