হাসান ইনাম
দুই হাজার সতেরো সালের একত্রিশে অক্টোবর চারুকলার সবুজ ঘাসে বসে হয়েছিলো শুরুটা। নয়জন কিশোর-কিশোরী মিলে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলো নতুন কিছুর। শহুরে জীবনের অমানুষিকতার মুখোশ খুলে মানুষ হতেই শুরু হয়েছিলো ‘শৈশব’। এই এক বছরে শৈশব চারটি ইভেন্ট সফল ভাবে শেষ করেছে।
এ বছরের জানুয়ারিতে ছিলো শৈশবের প্রথম ইভেন্ট। হাকিম চত্বরে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটায় ‘শৈশব’ এর কিশোর-কিশোরীরা। এরপর মার্চের শুরুর দিকে আরেকটু বৃহৎ পরিসরে নামে শৈশব টিম। আয়োজন করে একটু বড় করে। গরম গরম খিচুড়ি খাওয়ানোর আগে শিশুদের শেখায় কীভাবে হাত ধুতে হয়।
রমজানে অর্ধশত রিকশাচালককে সরবরাহ করে ইফতারি। ঈদের আগে রাঙিয়ে দেয় পথতারকাদের ছোট্ট কচি হাত।
এক বছরের জার্নি শেষে শৈশবের ফাউন্ডার জুবায়ের খান জানান ‘আমাদের কেবল যাত্রাটা শুরু। এক বছরের ভিতর আমরা চার চারটা ইভেন্ট করেছি। পথশিশু থেকে রিক্সা চালক। এক দিনের জন্য হলেও মুখে হাসি ফুটাতে পেরেছি। আমাদের সত্যিকারের প্রাপ্তিটা এখানেই। কিন্তু আমাদের স্বপ্নটা অনেক বড়। আমাদের স্বপ্নটা সেদিন পূরণ হবে যেদিন বাংলাদেশে আর পথশিশু খুঁজে পাওয়া যাবে না।’