মার্জিউর রহমান
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থী হত্যার বিচারের দাবিতে সকাল থেকে রাজধানীর শনির আখড়ায় জড়ো হতে থাকে দনিয়া কলেজসহ এর আশপাশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। ৯ টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী গাড়ি থামিয়ে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখা শুরু করে। তখন সেখানে তারা একটি পিকাপ ভ্যানকে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখার জন্য থামতে বলে। তখন চালকের লাইসেন্স না থাকায় সে সেখান থেকে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। গাড়ির গতি বাড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত এক শিক্ষার্থী গায়ে ধাক্কা লাগে। সে ধাক্কা সামলাতে না পেরে নিচে পরে যায়, তখন গাড়ির পেছনের চাকা তার গায়ের উপর চাপা দিয়ে চলে যায়। সেখানে উপস্থিত ছাত্রের সাথে কথা বলে জানা যায়, ছেলেটিকে চাপা দেয়ার পর পিকাপ ভ্যানটি গতি বাড়িয়ে যাত্রাবাড়ীর দিকে চলে যায়। তখন ছেলেটিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
তখন ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে পরে। তার কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে। রাস্তায় বেরিকেট দিয়ে শ্লোগান দিতে থাকে। তারপর পর অনলাইনে ছেলেটিকে চাপা দেয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পরে। সকাল ১০ টার দিকে গুজব ছড়িয়ে পরে ছেলেটি মারা গেছে। তখন অনেক অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দেয়। তবে, কিছু নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় ছেলেটি মারা যায়নি। ঘাতক চালককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে। সে বর্তমানের নারায়নগঞ্জের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। তবে, যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাটিকে পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছে। কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম তাদের সাথে ছেলেটিকে চাপা দেয়ার ভিডিওটি সম্পর্কে কথা বললে তারা জানায়, ভিডিওটি আগের।