–জুবায়ের ইবনে কামাল
রাজধানীর পান্থপথ এলাকা। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর থেকে আধ কিলোমিটার দূরেই পান্থপথ মোড়। এর পাশেই আবাসিক ওলিও ইন্টারন্যাশনাল হোটেল। রাতে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পুলিশ হোটেল ভবনটি ঘেরাও করে। তখন ঘড়িতে বাজছিলো রাত ৩ টা ৫ মিনিট। সকাল নয়টা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা সতর্ক অবস্থানে। পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা। আশেপাশের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ দূরত্বে। বোঝাই যাচ্ছে অপারেশনের প্রস্তুতি নিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরা। সাথে আছে সোয়াট, ফায়ার সার্ভিস সহ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। নিরাপদ দূরত্বে আছে সংবাদকর্মীরাও। বিস্ফোরক দ্রব্য সহ একজন জঙ্গীর উপস্থিতির খবর আছে পুলিশের কাছে।
ঘড়িতে ৯ টা বেজে ৪৪ মিনিট। হঠাৎ গুলির আওয়াজ। ইতিমধ্যে সতর্ক অবস্থানে আছে সোয়াট আর ফায়ার সার্ভিস। পাল্টা গুলি ছোড়ার মুহূর্তেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ। গণমাধ্যম কর্মীদের চোখের সামনে বিস্ফোরনের চাপে ধোয়াও আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। সাথে সাথেই ধ্বসে পড়ে হোটেলটির চতুর্থ তলার একপাশ। আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরনে নিহত হয় খুলনার জঙ্গী সাইফুল।
অপারেশন আগস্ট বাইট অভিযান শেষে পুলিশের মহাপরিচালক শহিদুল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা এ অভিযান চালায়। ১৫ আগস্টের শোক দিবসের মিছিলে আত্মঘাতী বোমা হামলার পরিকল্পনা ছিলো এই জঙ্গীর। তিনি আরো জানান, উক্ত জঙ্গী সাইফুল শিবির কর্মী ছিলো। উক্ত ঘটনার পর পুরো পান্থপথ এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।