ফিদা আল মুগনি
এক বছর আগে শুক্রবারের শেষ বিকালে যখন সবাই আড্ডা দিচ্ছিল একসাথে। প্রাণমুখর ছিল লেকের ধরে খোলা আকাশের নিচে সেই বেকারীতে, আনন্দে ভরপুর ছিল মুখগুলো, ঠিক তখনই আকাশ কালো হয়ে যায় মেঘে। আস্তে আস্তে অন্ধকার হয়ে যায় হলি আর্টিজেন নামের সেই রেস্তোরাঁর ভেতরেও।
গুলশান হলি আর্টিজেন হামলার এক বছর আজ। গত বছর জুলাইয়ে জঙ্গি হামলার স্বীকার হয় বেশকিছু তরুণ, বেশকিছু বিদেশি সহ পুলিশরাও। হামলার পর এর দায়ও স্বীকার করে আইএস।
ভয়ানক এই আক্রমণ সারা দেশকে ওলটপালট করে দেয়, সারা বিশ্বের মানুষ ভয়ে কাঁপতে থাকে।মানুষের বেশে সেই রেস্টুরেন্টে ঢুকে পড়া কিছু হায়েনা মুহূর্তেই সব ছিন্ন করে দিয়েছিল সেদিন। জঙ্গি হামলাই দেশ বিদেশের প্রায় বাইশ জন মানুষ প্রাণ হারান। ইশরাত আখন্দ, ফারাজ আইয়াজ, অবিন্তা কবিরের মত দেশের ও তারিশী জৈনের মত উদীয়মান বেশ কিছু তরুণরা প্রাণ হারান সেদিন। তাঁদের কোন দোষ ছিলনা। কখনো ধর্ম নিয়ে উচ্চবাক্য করেননি, ছিলেননা কোন ব্লগার। তাঁদের হয়ত দোষ ছিল তাঁরা প্রতিবাদ করতে চেয়েছিল, বন্ধুকে বাঁচাতে চেয়েছিল। আবার অনেকের প্রাণ কারণ ছাড়াই হারাতে হয় শুধুমাত্র ভয় দেখানোর উদ্যেশ্যে।
সেদিন নিহিতদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও নয়জন ইতালিয়ান, সাতজন জাপানি, একজন ভারতীয় ছিলেন।
সেই রাতের হিংস্র ভয়াবহতা এখনো সবাই ভুলতে পারেনি। সেই মুখগুলো ফিরে আসার নয় কিন্তু এখনো তাঁদের স্মৃতি সবাইকে কাঁদায়।আর সেই মানুষ বেশধারী নেকড়ে গুলোর চিৎকার এখনো শোনা যায়।
সেই নিষ্পাপ মুখগুলো অমর থাকুক সবার মনে।
