পালটা শুল্ক কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে করা গোপন বাণিজ্য চুক্তি (নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট) প্রকাশ করা হবে যুক্তরাষ্ট্রের সম্মতির পরই। চুক্তিতে দেশের স্বার্থবিরোধী কিছু নেই এবং যেসব বিষয়ে আপসের আশঙ্কা ছিল, আলোচনা করে তা থেকে বেরিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব তথ্য দেন তিনি। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের ওপর আরোপিত পালটা শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করে।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক বা স্থানীয় চুক্তিতে কিছু বিষয় গোপন রাখাই স্বাভাবিক। দেশের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো উপাদান থাকলে আমরা সে পথে হাঁটতাম না। শুল্ক কমাতে বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনার বিষয়টি আলোচনায় আসেনি; বরং যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ ছিল কৃষিপণ্যে।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা, গম, সয়াবিন, ভুট্টা, এলএনজি ইত্যাদি আমদানি করে ২ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে চায় বাংলাদেশ। পাশাপাশি খাদ্যপণ্য প্রতিযোগী মূল্যে আমদানি করে বাজার স্থিতিশীল রাখাও লক্ষ্য।
উপদেষ্টার মতে, চুক্তির সফলতা নির্ভর করবে রপ্তানিকারকদের সক্ষমতার ওপর। আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই। এ সময় তিনি বাংলাদেশ বিমানের যাত্রী হারানো বাজার ফেরাতে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন এবং বিমানের দক্ষতা বাড়াতে আইন ও নীতিগত পরিবর্তনের আশ্বাস দেন।