–অনিরুদ্ধ সাজ্জাদ
বিদ্যুত একটি সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় জিনিস। রাতে শুধু ইলেক্ট্রিক বাতি জ্বলবে, এটাই বিদ্যুতের একমাত্র কাজ নয়। বাতি জ্বালানো বিদ্যুতের হাজার কাজের অন্যতম একটি। কিন্তু বিদ্যুতই যদি না থাকে তো এই বাতিটাও আর জ্বলবেনা। পুরো এলাকাজুড়েই বিরাজ করবে আধাঁর।আর এই আধাঁরেই ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়। হ্যা,সম্প্রতি এমনই হচ্ছে কুমিল্লা জেলার অন্তর্গত দক্ষিণ চৌদ্দগ্রামের কিছু এলাকায়।যেখানে প্রতিনিয়তই লেগে আছে লোডশেডিং। একবার লোডশেডিং শুরু হলেই ঘণ্টা পেরোলেও খবর।নেই বিদ্যুৎ আসার।ফলে রাতের বেলা পড়াশোনা করতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা। যা এক চরম বিপর্যয় সবার জন্য। এক্ষত্রে চার্জলাইট থাকলেও
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারনে তা পরিপুর্ণ চার্জ দেওয়া
যাচ্ছে না। কিছুক্ষণ পরই থাকতে হয় অন্ধকারে এতে চরম ক্ষতি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায়।যার ফলে পরিক্ষায় ফলাফল খারাপ হচ্ছে। আর দায়ী করা হচ্ছে গ্রাম্য স্কুলগুলোর।
শুধু রাতে নয় দিনের বেলাতেও স্কুলে গরমে ক্লাস করতে কষ্ট হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। তাছাড়া উক্ত এলাকার অধিকাংশ বাড়িতে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়নি,যদিও বা বিদ্যুতিক তার ও পিলার বসানো হয়েছে। তাই মানুষগুলো আজও দিন কাটাচ্ছে পুরনো কুপি, হারিকেন অথবা চার্জলাইট জ্বালিয়ে। বিশেষ করে চৌদ্দগ্রাম
উপজেলাধীন গ্রাম আলকরা,লক্ষ্মীপুর, কুঞ্জশ্রীপুর,কেন্দুয়া, গুণবতীতে এই সমস্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সাব-জোনাল
অফিসের সংশ্লিষ্ট করমকর্তাদের সাথে কথা বললে
তারা জানান যে,”দেশের বিদ্যুৎ চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় লোডশেডিং ও বেড়ে গেছে। কারণ আমাদের সবার জন্যই বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হয় আর প্রয়োজনের তুলনায় এর মাত্রাও খুব কম।”
কিন্তু তারপরও দেখা যাচ্ছে কিছু এলাকায় সঠিক মাত্রাতেই বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছে।শুধু সংশ্লিষ্ট এই এলাকাগুলোতেই যত সমস্যা। এ পরিস্থিতির উন্নয়ন প্রয়োজন। সমস্যাগুলোর সমাধান প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এদিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।