মোঃ ফাহিম আহম্মেদ রিয়াদ-বগুড়া প্রতিনিধিঃ
শষ্য ও রেণুপোনার ভান্ডার হিসেবে পরিচিত বগুড়ার কাহালু উপজেলা, এখানে সারা বছরই চলে কৃষি কাজকর্ম। অন্যান্য এলাকার মতো তেমন প্রাকৃতিক তেমন দুর্যোগের কবলে পড়েনা হয় না এ এলাকার কৃষকদের।
সব ধরনের শষ্যের উৎপাদনও এখানে হয় অনেক ভালো। এসব সমতল ভুমিতে ধান, আলু, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষাবাদ হয়। সমতল ভূমির মতো সমানতালে এখানে জলাভূতিতেও ব্যাপক হারে মাছের চাষ হয়। যার ফলে সিজিন সময়ে কৃষি কাজের চাপও অনেক বেশী হয়।
ধানসহ বিভিন্ন ফসল কাটা-মাড়াই, উঠানো ও রোপনের সময় স্থানীয় চাষিরা তদের কৃষি কাজ করতে অনেক হিমশিম খায়। বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কৃষিশ্রমিক দিয়ে কাজ করে নিয়েও সামাল দিতে হিমসিম খেয়ে যায় অনেকেই।
চলতি মৌসুমে অত্র উপজেলায় একসাথে শুরু হয়েছে আলু তোলা, সরিষা উঠানো, বোরো ধান রোপনসহ মাঠে থাকা অন্যান্য ফসলের পরিচর্যার কাজ। যার ফলে এখানকার কৃষি পরিবারের ছোট-বড় ও নারী-পুরুষ কেউ বসে নেই। তারা মাঠ থেকে শুরু করে বাড়ি পর্যন্ত ফসল ঘরে তোলার কাজে মহা ব্যাস্ত হয়ে পড়েছেন। কৃষি পন্য বাড়িতে রাখার মতো জায়গার সংকুলান না হওয়ায় অনেক চাষী কম দামে বিঘা চুক্তি আলু বিক্রি করেছে ব্যবসায়ীদের কাছে। অনেকে সরিষা উঠানোর পর পরই দানা বের করে উঠান থেকে বিক্রি করছে।
আবার যাদের চাতাল, গুদাম ও অন্যান্য জায়গা রয়েছে তারা তাদের উৎপাদিত কৃষি পন্য সহজে বিক্রি করছেননা। বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে লক্ষ করা গেছে কৃষি পরিবারের সদস্যদের এতো বেশী কাজের চাপ যাতে তারা একপ্রকার পানি খাওয়ারই সময় পাচ্ছেননা।