আনিস মিয়া, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া সড়ক এখন চলাফেরার অযোগো, সাধারন মানুষের হয়রানি আর কমছে না , প্রতিনিয়তই ঘটছে দূর্ঘটনা। প্রায় দু’বছর হলো হালুয়াঘাট -ধোবাউড়া রাস্তার সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। সংস্কারের দু’বছরের মধ্যেই সৃষ্টি হতে চলছে শত শত ছোট বড় গর্ত। উপজেলার গরু বাজার মোড় থেকে আকন পাড়া হাদিসের মোড়, সুর্যপুর চৌরাস্তা বাজার, বালিচান্দা, মেকিয়ার কান্দা, মান্দালিয়া, মুন্সিরহাট বাজার থেকে ধোবাউড়া পর্যন্ত রাস্তায় বড় বড় গর্তে পানি জমে থাকায় যানবাহন ও পথচারীদের চলচলে ভোগান্তির যেন শেষ নেই। হালুয়াঘাট বাজার থেকে শাহাপাড়া এবং ধোবাউড়া মুন্সির হাট বাজারে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে বিটুমিন উঠে গিয়ে দ্রুত নষ্ট হচ্ছে কার্পেটিং, তৈরী হচ্ছে বড় বড় গর্ত।
ধোবাউড়া থেকে তারাকান্দার রাস্তা খারাপ হওয়ায় সমস্ত যানবাহন হালুয়াঘাটের এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছে। এছাড়াও ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর, পোরাকান্দুলিয়া, গোয়াতলা, সিবগঞ্জ, চাটুয়াপাড়া, চন্দ্রকোনা, ঘোষগাঁও, এরশাদ বাজার সহ বিভিন্ন রোডের গাড়িগুলো এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে দেখা যায়। রাস্তাটির ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় নেত্রকোনা জেলার দূর্গাপুর ও ধোবাউড়া উপজেলা থেকে চীনা মাটি ও বালু ভর্তি ট্রাক অতিরিক্ত লোডে আসা-যাওয়া করার কারণেই ধবংস হতে চলছে এ সড়কটি। হালুয়াঘাট- ধোবাউড়ার রাস্তাটি গুনগত কাজের মান একদম কম এবং রাস্তাটির ধারণ ক্ষমতা কম থাকায় অতিরিক্ত লোডে গাড়ি চলাচল করায় এই সব ছোট-বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তাই দ্রুত সমাধানে উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী করছি। মুন্সিরহাট বাজারের রাস্তাটি একেবারেই চলাচলের অনুপযোগ হয়ে পরছে। এতে ধারণ ক্ষমতা একেবারেই কম বর্তমানে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টন লোডে এ সব গাড়ি চলাচল করছে। রাস্তাটিকে ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতে হলে এই সব অতিরিক্ত লোড গাড়ির বিরুদ্ধে সওজের কর্মকর্তাদেকে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। গাড়ি ভাড়া কম থাকায় অতিরিক্ত লোডে গাড়ি চালাই।