আঞ্চলিক ডেস্ক
-আনাস ইসলাম উপম
ময়মনসিংহে শহরে একটি নম্বর ব্যবহার করে ৩টি ভূয়া ও ডুপ্লিকেট লাইসেন্স বানিয়ে ব্যাটারী চালিত অটোবাইক চালানোর অভিযোগে ৩টি অটোবাইক গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জনসন্মূখে ধ্বংস করা হয় এবং অটোবাইকের মালিক বাড়েরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান রানা কে পুলিশে সোপর্দ করে পৌর কর্তৃপক্ষ।
শহরের অটোবাইক চলাচল করায় ইদানিং অবৈধ অটোবাইকের সংখ্যা বেড়ে যায় বলে ধারনা করা হচ্ছিলো । এ বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে এর প্রতিকারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করে।
জানা যায়, বাড়েরা আব্দুল মান্নান রানা (২০১৩) একটি নম্বর ব্যবহার করে আরো ৩টি ভূয়া ও ডুপ্লিকেট লাইসেন্স বানিয়ে শহরের ভিতরে অটোবাইক চালছিলো।
বৃহস্পতিবার দুপুরে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে পৌরসভার একটি টীম শহরের কাশর লাকিপাড়া এলাকার একটি গ্যারেজে অভিযান চালিয়ে হাতে নাতে ৪টি অটোবাইক জব্ধ করে টাউন হলে নিয়ে আসা হয়। পরে অটোবাইকের মালিক বাড়েরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল মান্নান রানাকে খবর দিয়ে সে টাউন হলে উপস্থিত হলে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়টি উর্ধ্বতন পৌর কর্তৃপক্ষর নির্দেশে বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের টাউনহল মোড়ে প্রকাশ্যে ড্রেজার দিয়ে ৩টি অটোবাইক ধ্বংস করে ফেলা হয়। এসময় পৌর কর্মকর্তা, কর্মচারী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ শত শত মানুষ তা প্রত্যক্ষ করেন। এ দিকে ভূয়া ও ডুপ্লিকেট লাইসেন্স বানিয়ে শহরের ভিতরে দেদারছে অটোবাইক চালানোর জন্য পৌর কর্তৃপক্ষ শিক্ষক আব্দুল মান্নান রানার বিরুদ্ধে কোতুয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্র জানায়।
ময়মনসিংহ জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম জানান, অস্বাভাবিক ও মাত্রাতিরিক্ত অটো চলাচলের প্রেক্ষিতে শহরের প্রায় সর্বত্রই যানজট লেগেই ছিলো। জেলা নাগরিক আন্দোলন নয়া বিভাগীয় শহরকে যানজট মুক্তকরণে অটোবাইকের সংখ্যা এবং যানজট নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষে বিভাগীয় কমিশনার, ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও পৌর মেয়রকে বহুবার লিখিত ও মৌখিকভাবে বলার প্রেক্ষিতে অবশেষে একটি কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রায় ৪ হাজার প্রকৃত অটোবাইক মালিককে লাইসেন্স প্রদান করা হয়।
মেয়র ইকরামূল হক টিটুর এই মহতি উদ্যোগকে সর্বস্তরের মানুষ স্বাগত জানায়। কিন্তু ইদানিং একটি মহল ভূয়া ও ডুপ্লিকেট লাইসেন্স বানিয়ে অধিক সংখ্যক অটোবাইক চলাচল করায় শহরে আবারো যানজটের সৃষ্টি হচ্চে। যা মেয়রের দৃষ্টিতে ইতমধ্যেই আনা হয়েছে।