আনিস মিয়া
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহ বিভাগের ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ঘাগড়া চৌরাস্তা বাজারে ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছিলো একটি নতুন আরসিসি ব্রিজ।
দাপুনিয়া-চুরখাই বাইপাস সড়ক ধরে কয়েক কিলোমিটার সামনেই ঘাগড়া চৌরাস্তা বাজার। এ বাজারের মাঝখানে সুতিয়া নদীর ওপর আরসিসি ব্রিজ নির্মাণের জন্য ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে মেসার্স তমাল এন্টার প্রাইজকে এ ব্রিজ নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের এপ্রিলে তমাল এন্টার প্রাইজ নির্মাণ কাজ শেষ করে।
সেই সাথে দাপুনিয়া ইউনিয়নের ঘাগড়া চৌরাস্তা বাজারের প্রায় ৫ গ্রামের বসবাসরত কয়েক হাজার মানুষের জীবন যাএার মান ও চলাচলের উপযোগী হয় এতে করে দাপুনিয়া-চুরখাই বাইপাস সড়কে সহজেই মালামাল সহ অসুস্থ্য থাকা রোগীকে সহজেই হাসপাতালে আনা নেওয়ার সুবিধা হয়েছে।
সবোপরী ব্রিজটি নির্মাণের মধ্যে দিয়ে পূরণ হয়েছে ৫থেকে ৬ টি গ্রামে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষে শত বছরের লালিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
কিন্তু হাজার হাজার মানুষের লালিত স্বপ্ন অকূরের বিনষ্ঠ করে দিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী এক মহল ।সুতিয়া নদীর ওপর ব্রিজের ঠিক সামনের সড়কটিতে নির্মাণ করেছেন সীমানা প্রাচীর। তাদের দাবী, নিজ মালিকানা জমির উপর দিয়ে রাস্তা দিবেন না।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ২০ থেকে ২২ দিন আগে হঠাৎ করেই স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি ব্রিজের সামনে যাতায়াতের রাস্তাকে নিজের জমি দাবি করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন।
রাস্তার উপর সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রসঙ্গে যার উপর এ অভিযোগ উঠেছিলো তিনি জানায় , আমার সাফকাওলা ৪ শতাংশ জমির উপর দিয়ে ব্রিজের রাস্তা হয়েছে। ব্রিজ নির্মাণের আগেই আমি একটি অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি। তিনি বলেন, রাস্তার পশ্চিম পাশে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। সেটি উচ্ছেদ করলে জনস্বার্থে আমি আমার নিজের জায়গা রাস্তার জন্য দিয়ে দিব।
তার দাবি উপজেলা প্রশাসনের গলদ পরিকল্পনার কারণে সরকারের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ব্রিজ গচ্ছা যেতে বসেছে।
তবে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহম্মদ মুবিনুর রহমান কাচ্ছ থেকে জানা যায় , এ ব্রিজ নির্মাণের সময় তিনি বাঁধা দেননি। আপত্তিও তুলেননি।
এলাকাবাসীরা বলেন, ব্রিজ সংলগ্ন সরকারি জমিতে পাকা দালান ঘর নির্মাণ করেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, সরকারি জমিতে অবৈধ স্থাপনা থাকলে সেটি উচ্ছেদ করা হবে এবং সেখান দিয়ে নতুন রাস্তা করা হবে। এটি উচ্ছেদের পর তিনি আমাদের জমি দিলে আমরা নিয়ে নিবে। তবে এলাকাবাসীরা দাবি তাদের রাস্তা চাইই চাই।