আনিস মিয়া
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের ভাটিচর নওপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে জুয়েল মিয়া গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার বান্দাবাড়ি গ্রামের ফজলুল হকের যুবতী কন্যার সাথে এক বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের দুজনের পরিচয় হয়।
মোবাইল ফোনে কথোপকথন আর ফোনের মাধ্যমে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ।
সেই প্রেমের ফাঁদে পরেই জুয়েলের সাথে দেখা করতে ওই যুবতী তার বড় বোনকে সঙ্গে নিয়ে গত ৬ আগস্ট রাত ৯ টার দিকে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ সদর বাস স্টেশনে পৌঁছে।
পরে সেখান থেকে দুই বোনকে নিয়ে জুয়েল সিএনজি যোগে উপজেলার রাজীবপুর ইউনিয়নের লাটিয়ামারী বাজার বেড়িবাঁধ এলাকায় পৌছে। এসময় ব্রহ্মপুত্র নদের বালুর চরে তাদের দুজনকে নিয়ে যায়।
পরে রাত ১১টার দিকে জুয়েল ও তার সহযোগীরা বড় বোনকে আটকে রেখে ছোট বোন ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। সেই সাথে তাদের সঙ্গে থাকা বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও দুটি মোবাইল ফোন, ক্যামেরা, নগদ টাকাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লোটকরে নিয়ে যায় ধর্ষকরা।
ভোরে অসুস্থ অবস্থায় বড়বোনের সহায়তায় ওই এলাকার আক্তারুজ্জামান বাড়িতে আশ্রয় নেয় তারা।
আক্তারুজ্জামান ঘটনার বিবরণ শুনে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে নিয়ে গেলে চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে আশে-পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে সত্যতা পেয়ে ওই নারীকে আইনের আশ্রয় নিতে বলে।
পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই নারী বাদী হয়ে জুয়েল মিয়াসহ নয়জনকে আসামি করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান মোদাব্বিরুল ইসলাম জানান, এলাকায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। ঘটনার সাথে জড়িতদের পরিচয় পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান বলেন, প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভিকটিমকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ৯ জনকে আসামী করে একটি মামলা হয়েছে। তবে ধর্ষকদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।